জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘জগদ্ধাত্রী’। বর্তমানে সিরিয়ালের ধামাকাদার পর্ব চলছে। কোম্পানিতে কৌশিকীর জায়গা কে পাবে তাই নিয়ে চলছে মুখার্জি বাড়িতে বিবাদ। বৈদেহী এতদিন চেয়ে এসেছে যেকরে হোক উৎসব কোম্পানির জায়গা পাক। কিন্তু কৌশিকী চায় সঠিক উত্তরসূরি পাক এই অধিকার। আর তাই সে জগদ্ধাত্রীকে তার চেয়ার ছেড়ে দেয় কৌশিকী। কোম্পানির অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক ছক কষে যাচ্ছিল যাচ্ছিল বৈদেহী, মেহেন্দি ও উৎসব।
সকলেই সকলের একপ্রকার শত্রু হয়ে উঠছিল। এরইমাঝে স্বয়ম্ভুকে খুন করা হয়। যদিও আমরা জানি জগদ্ধাত্রী দোষীদের ধরার জন্য স্বয়ম্ভুর মৃত্যুর কথা ছড়িয়েছে। আসলে সে বেঁচে রয়েছে।ইতিমধ্যে স্বয়ম্ভুর খুনের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত বাগচীকে ধরে ফেলেছে জগদ্ধাত্রী। দিভিয়া আর চন্দ্রনাথ মুখার্জি হাত মিলিয়েছে তাও সামনে আসে। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী উৎসবকে জেলে ঢোকানোর সমস্ত পরিকল্পনা করে নেয়।
তারপরই ধারাবাহিকে আসে এক চমকদার পর্ব। কোম্পানিকে দখল করার জন্য পরিবারের মধ্যে যে বচসা বেঁধেছিল তা ধীরে ধীরে সমাধান করছেন কৌশিকী। গুলিবিদ্ধ সয়ম্ভুর মৃত্যুর খবর শুনে খুব খুশি মেহেন্দি। সে জানে না যে স্বয়ম্ভু বেঁচে রয়েছে। এদিকে তিন্নির সাহায্যে জগদ্ধাত্রী মেন্ শুটারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। উৎসবের সাথে প্ল্যান করে সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার প্ল্যান করেছিল মেহেন্দি। কিন্তু সেই প্ল্যানে জল ঢেলে দেয় কৌশিকী।
কোম্পানির যোগ্য উত্তরসুরী হিসাবে জগদ্ধাত্রীকে নিজের চেয়ারে বসলো কৌশিকী। অন্যদিকে জগদ্ধাত্রী এটা জানতে পেরে যায়, স্বয়ম্ভুকে মারতে বাগচীর সাথে দিভিয়া সেন ও উৎসব হাত মিলিয়েছে। সমস্ত প্রমান সামনে এনে একদিকে দিভিয়াকে গ্রেফতার করে জগদ্ধাত্রী। আর তারপরই উৎসবকে গ্রেফতার করে সে। অন্যদিকে স্বয়ম্ভুর মৃত্যুর খবর পেয়ে খুব খুশি মেহেন্দি। স্বয়ম্ভুর মৃত্যুতে মেহেন্দি স্মরণসভা রাখার কথা বলে! তবে কৌশিকী মেহেন্দীকে যোগ্য জবাব দিয়ে দেয়।
সে বলে, ‘নারী জাগরণের কথা তোমার মুখে মানায় না মিসেস কলতলা কালচার’! পাশাপাশি জ্যাসের কথা তুলে কৌশিকী মেহেন্দীকে সচেতন করে। আমরা যদিও আগেই জেনেছি, খুব শীঘ্রই স্বয়ম্ভু সকলকে অবাক করে সামনে আসবে। প্রোমোতে দেখা যায়, স্বয়ম্ভুকে শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে জগদ্ধাত্রীও উপস্থিত ছিল। হঠাৎ কিছু গুন্ডা আসে ও জগদ্ধাত্রীর দিকে গুলি করতেই যায়, ঠিক সেসময় উৎসব উঠে জগদ্ধাত্রীকে বাঁচিয়ে নেয়। স্বয়ম্ভুকে দেখে সকলেই অবাক হয়ে যায়।