টানটান উত্তেজনা, জমজমাট গল্পে, জমে উঠেছে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘গৌরী এলো!’ এক সম্পূর্ণ পরাবাস্তব গল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে এই ধারাবাহিকটি।
মানুষ এবং মা কালীর শক্তি এখানে একাকার হয়ে গেছে। গ্রামের মেয়ে গৌরী এখানে মা কালীর শক্তিপ্রাপ্ত। আর শহরের ডাক্তার বাবু এবং কালক্রমে গৌরীর স্বামী ঈশান মহাদেবের আশীর্বাদ প্রাপ্ত। এই ধারাবাহিকে জাগ্রত দেবী ঘোমটা কালী। ঈশান, গৌরীকে যেকোনও বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন এই দেবী।
এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ঈশানের। যদিও পরবর্তীতে সন্ন্যাসী রূপে ফিরিয়ে আনা হয় ঈশানকে। অন্যদিকে সেই সময় গৌরী সন্তান সম্ভবা। যদিও গৌরীর সামনে নিজেকে ব্রহ্মচারী রূপে প্রতিষ্ঠা করে স্মৃতিভ্রষ্ট ঈশান। অবশেষে ঈশানের স্মৃতি ফিরিয়ে দেন ঘোমটা কালী।
আর এই ঈশান-গৌরীর জীবনে ভিলেন হচ্ছে শৈলমা অর্থাৎ ঈশানের নিজের পিসি। জানা গেছে, গৌরীর সন্তানই শৈল মায়ের অন্ত ডেকে আনবে। আসলে ঘোমটা কালী নিজেই জন্ম নিয়েছেন ঈশান গৌরীর কন্যা রূপে। প্রবল শক্তি তাঁর মধ্যে। ইতিমধ্যে নিজের ছোট্ট হাত-পা দিয়ে শৈল মাকে ঘায়েল করে ফেলেছে সেই কন্যা।
গৌরি বুঝতে পেরেছে যে তাঁর মেয়ে সাধারণ কোনও মানুষ নয়। এই সময় কন্যাকে দেখতে বাড়িতে আসেন সাধুসন্তরা। তাঁরা জানিয়ে দেন বাড়িতে মা কালীর আগমন হয়েছে। আর তা জানতে পেরে গৌরীর সন্তানকে শেষ করে দেওয়ার ফন্দি আটে শৈল মা।
এরই মধ্যে নিজের সন্তানকে দেখতে অস্থির হয়ে ওঠে ঈশান। সনাতন কাকা তাকে ঘোষাল বাড়িতে নিয়ে যায়। আর পরের সুযোগ বুঝে সনাতন কাকাই ঈশান-গৌরীয সন্তানকে ঈশানের কাছে নিয়ে যায়। ঈশান নিজের মেয়েকে চুপিচুপি জানায় যে সে কেন ছদ্মবেশে রয়েছে। এরই মধ্যে মেয়েকে খুঁজতে আসে গৌরী। আর তাৎক্ষণাৎ ঈশান বাচ্চাটিকে সনাতন কাকার হাতে তুলে দিয়ে গা ঢাকা দেয়। এরই মধ্যে বৃহন্নলারাও এসে উপস্থিত হয়েছে শৈল মা তাঁদের মধ্যেই গুন্ডা ভিড়িয়ে দিয়েছে গৌরী ঈশানের সন্তানকে অপহরণ করার জন্য। নিজেদের সন্তানকে কি বাঁচাতে পারবে ঈশান?