এই মুহূর্তে জমে উঠেছে জি বাংলার (Zee Bangla ) ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল (Icche Putul) । বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে এখন এই ধারাবাহিকটি এখন দারুণ রকম উত্তেজনা পূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঙালি টেলিভিশন প্রেমীরা এখনই ধারাবাহিকটি দেখতে ভীষণ পছন্দ করছেন। আর সেই পছন্দের কারণেই ধারাবাহিকটির এই তীব্র জনপ্রিয়তা।
আগে যে ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় পিছনের সারিতে থাকত সেই ধারাবাহিকটিই এখন দারুণ পারফরম্যান্স করে একেবারে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। স্টার জলসার তোমাদের রাণীকে হারিয়ে প্রত্যেক সপ্তাহে স্লট লিডার হচ্ছে এই ধারাবাহিকটি। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এই ধারাবাহিকের গল্পের আধার তিনজন। মেঘ, ময়ূরী, সৌরনীল। এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী ময়ূরীর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল কলেজের প্রফেসর সৌরনীলের। আর তাই ময়ূরীকেই বাড়ির বউ হিসেবে চেয়েছিল সৌরনীলের পরিবার। কিন্তু সৌরনীল ভালোবেসে ফেলেছিল ময়ূরীর বোন মেঘকে।
বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়ে ময়ূরীর অসুস্থতা, তার ঘৃণ্য মানসিকতার কথা বলে তাকে বিয়ে না করে তার বোন মেঘকে বিয়ে করে নেয় সৌরনীল। আর এই অপমানের জবাব দিতে মরিয়া ছিল ময়ূরী। ছোট থেকেই মেঘকে সহ্য করতে পারত না সে। হিংসা করত বোনকে। আর ওই ঘটনার পর থেকেই আরও বেশি করে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে ময়ূরী। সে ধ্বংস করে দিতে চায় মেঘের জীবন।
আর সেই লক্ষ্য পূরণে তার শরিক হয় সৌরনীলের মা ও বোনেরা। কারণ এরা কেউই মেঘকে নিজেদের বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। আর সেই কারণেই ময়ূরীর বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তারা মেঘকে ভুল বুঝে। শুধু কি তাই? মেঘের মেরুদণ্ডহীন স্বামী সৌরনীল পর্যন্ত ময়ূরীর মিথ্যাচারের শিকার হয়।
সে প্রতি পদে ভুল বুঝে মেঘকে। উঠতে বসতে অপমান করে তাকে। কিন্তু এই অপমান সহ্য করে নীলের বাড়িতে পড়ে থাকেনি মেঘ। আত্মসম্মানে বলীয়ান হয়ে সে বাড়ি ছেড়েছে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সে কলকাতা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় উঠতি গায়িকা।
বর্তমানে ভালো গান গাওয়ার সুবাদে এখন শহর জুড়ে দারুণ জনপ্রিয়তা মেঘের। আর তাই সৌরনীলের পাড়ার পুজোয় পাড়ার ছেলেরা নীলের কাছে আবদার করে তাদের পাড়ার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেঘের গানের জন্য। যেখানে অষ্টমীর রাতে মেঘকে গান গাওয়ার কথা বলে। তখন নীল তাদের বলে যে মেঘের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে নিতে। কারণ এটা তার প্রফেশনাল বিষয়।
নীল ভীষণভাবেই চাইছিল যেন মেঘ এসে তার পাড়ার অনুষ্ঠানে গান গায়। এরপর নীলের পাড়ার ছেলেরা মেঘের বাপের বাড়িতে এসে আবদার করে তাকে অষ্টমীর রাতে গান গাওয়ার জন্য। কিন্তু বারংবার না বলে দেয় মেঘ। জানিয়ে দেয় তার অন্যত্র অনুষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই নীলের পাড়ার পুজোর উদ্যোক্তাদের কাটাতে না পেরে, তখন মেঘ তাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দেয় আমি গান গাওয়ার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নিই তা আপনাদের জানা আছে? তখন তারা বলে তুমি তো পাড়ার বউ তুমি কি পারিশ্রমিক নেবে?
আসলে মেঘ চাইছিল সে এমন পরিমাণ অর্থ দাবি করবে যা পাড়ার উদ্যোক্ততারা দিতে না পেরে তাকে অনুষ্ঠান থেকে বাদ দিয়ে দেয়। এমনকি সেটাও দেখাতে চেয়েছিল যাতে সৌরনীলরা ভাবে মেঘ এখন ভীষণ রকম লোভী হয়ে গেছে অর্থাৎ খারাপ হওয়ার চেষ্টা করছিল মেঘ। কিন্তু তার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মেঘ তাদেরকে কি বোঝাতে চাইছে সেটা ভালো করেই বুঝা যায় সৌরনীল। অন্যদিকে পাড়ার উদ্যোক্তারা নাছোড় মেঘকে দিয়ে গান গাওয়াবে বলে। তখন সৌরনীল এই সব ঘটনা শুনে বলে সে টাকা দিয়ে দেবে। কিন্তু সেই কথা যেন মেঘ না জানতে পারে।