বাংলা টেলিভিশনের বেশ পরিচিত মুখ হল অভিনেত্রী রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য। যাকে আমরা জি বাংলা এবং স্টার জলসার একাধিক ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র এবং পার্শ্ব চরিত্র দুটোতেই অভিনয় করতে দেখতে পেয়েছি। রোশনির অভিনয় জীবন শুরু স্টার জলসার “ফেলনা” ধারাবাহিকের মাধ্যমে। এই ধারাবাহিকে ফেলনার মা শ্রুতির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তারপরে জি বাংলার একটি ধারাবাহিক “হৃদয় হরন বিএ পাস” এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তারপর বেশ কিছুদিন আগে স্টার জলসার একটি ধারাবাহিক শেষ হয়েছে, যার নাম “মন ফাগুন”। এই ধারাবাহিকের শেষের দিকে তাকে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখতে পাওয়া যায়।
“মন ফাগুনের” পর থেকে তাকে আর টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়নি।
View this post on Instagram
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে যে কালার্স বাংলার একটি ধারাবাহিকের একটি মডেলের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। প্রসঙ্গত অভিনেতা সুমন দে এবং প্রিয়া মণ্ডলের অভিনীত ‘তুমি যে আমার মা” ধারাবাহিকে রোশনিকে একজন বিখ্যাত মডেল ঋদ্ধিমার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখতে পাবে দর্শক। অভিনেত্রী তার এই নতুন কাজ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত।
রোশনি কয়েকদিন আগে তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তার অভিনয় জীবনের প্রথম দিকের কথা। তিনি বলেন যে অভিনয়ের প্রথম দিনগুলি তার কাছে একদমই সহজ ছিল না। সেই সময় তিনি তার মায়ের সাথে একাধিক জায়গায় অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়ে যেতেন। তার মধ্যে যথেষ্ট অভিনয় দক্ষতা থাকলেও তাকে সুযোগ দেওয়া হতো না। অবশেষে একটি চরিত্রের জন্য তিনি সিলেক্টেড হন। কিন্তু সেই ব্যক্তি তাকে তার অভিনয় গুণের জন্য শুধু সিলেক্ট করতে রাজি হননি, তার কাছে চেয়েছিলেন মোটা অংকের টাকা। তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু সেই সময় রোশনি পক্ষে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি তার ফলেই দর কষাকষি করে শেষে ৫০০০০ টাকার বিনিময় তিনি প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। চোখে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও টাকা ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পায়নি রোশনি তন্বী ভট্টাচার্য।
তবে তার ক্ষেত্রে এরকমটা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে এরকমটা নয়। বেশিরভাগ মানুষই নিজের প্রতিভা দেখিয়ে কাজ পেয়েছেন।সৌমি হোক বা অন্বেষা হাজরা, শুধুমাত্র নিজের প্রতিভার জোরেই তারা কাজ পেয়েছেন এবং পরপর পেয়ে যাচ্ছেন।
একদম ছোটখাট অভিনেত্রীরা টাকা দিয়ে এসেছেন হয়তো এবং লড়াই করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে প্রতিভা থাকলে সেটা একদিন ঠিক ফুটে বেরোবে। এর জন্য পয়সা দেওয়ার কোনো দরকার নেই।