বাংলা টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন অন্বেষা হাজরা। যাকে দর্শক কিছুদিন আগে দেখেছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়” তে। সেই ধারাবাহিকে অন্বেষা অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জির বিপরীতে অভিনয় করতেন। বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল এই ধারাবাহিক টিভির পর্দায় শেষ হয়েছে। তবে বাংলা টেলিভিশন প্রেমী দর্শক এখনো অন্বেষাকে প্রায় দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মনে করে।
অন্বেষার অভিনয় জীবন শুরু ২০১৮ সালের “কাজল লতা” ধারাবাহিক থেকে । তারপর “জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী”, “বৃদ্ধাশ্রম”, “চুনি পান্না”,”ঠাকুমার ঝুলি”ধারাবাহিক গুলিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অন্বেষাকে। বাংলা টেলিভিশনের দর্শকরা অন্বেষার অভিনয় খুবই পছন্দ করে। তবে বর্তমানে দর্শকরা তাকে ‘উর্মি’ বলেই বেশি মনে করে। কিন্তু হঠাৎ করেই অভিনেত্রীর পুরনো কী অন্যায়ের কথা মনে পড়ল?
আসলে প্রত্যেকের জীবনেই স্কুল জীবনের স্মৃতি একটা বিশেষ জায়গা দখল করে থাকে। মানুষ বড় হয় এবং সাফল্যের শিখরে ওঠে কিন্তু ছোটবেলার স্মৃতিকে কেউ ভুলতে পারে না। তাই সম্প্রতি বর্ধমানে নিজের ছোটবেলার স্কুলে গিয়ে পুরনো দিনগুলোতে ফিরে গেলেন অভিনেত্রী। বর্ধমানের মেয়ে অন্বেষা। সেখানেই পড়াশোনা থেকে শুরু করে বড় হয়ে ওঠা। ২৬ শে জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন নিজের স্কুলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আর সেখানে পুরনো দিদিকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। আর নিজের ১২ বছর আগে করা অন্যায়ের কথা মনে পড়ে গেল তার।
স্কুলের সেই দিদির সঙ্গে ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্বেষা লেখেন, “কণিকাদির হাত ধরে হস্টেল থেকে বেরিয়ে মহুকুমা হাসপাতাল গেলেও মনে হত পার্কে বেড়াচ্ছি। আসলে আমাদের ওঁর বকুনির ভয়ে কম শরীর খারাপ করত। আজ প্রায় দশ বছর হয়ে গেল ওঁর সেই বিখ্যাত বকুনির। খুব মিস করি আপনাকে।”
View this post on Instagram
অভিনেত্রী আরও লেখেন, “সে দিনও প্রায় ১২ বছরের পুরনো অপরাধ আপনার কাছে স্বীকার করতে পারিনি— ক্লাস টেনে পড়ার সময় আমি, দাস, রিমা কুন্তলা এবং আরও কয়েক জন মিলে আপনার অনুপস্থিতিতে আম পাড়ার লগা দিয়ে আপনার ঘর থেকে কাচঘরের চাবি চুরি করে ছিলাম টিভি দেখব বলে। দুঃখিত।”