মিত্তির বাড়িতে চলছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এদিকে, পারিবারিক নানা ঝামেলার মধ্যেও সবার মুখে হাসি ফুটেছে। জি বাংলার মুক্তির বাড়ি ধারাবাহিকি গত পর্বে দেখা গেছে, হৈহৈ করে নববর্ষের অনুষ্ঠানের একদম শেষ প্রান্তে এসে আনন্দ সবাইকে ঘোষণা করে ধ্রুব-জোনাকি সবাইকে একটা গান পরিবেশন করবে আর সেই কথা অনুযায়ী, মিত্তির বাড়ির এই জুটি একটা গান ও পরিবেশন করে।
এদের গান শুনে ঠাম্মা মনে মনে ভাবতে থাকে, এঁরা যেনো সারা জীবন এই ভাবেই একে অপরকে বুঝে পাশে থাকতে পারে। এমনকি, তপতিও মনে মনে বলতে থাকে ধ্রুব ও জোনাকির মধ্যে খুব ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। গান শেষে জোনাকির নাম ধরে ডাকতে ডাকতে বাড়িতে এক অচেনা মহিলা ঢুকে পড়ে। পরবর্তীকালে অবশ্য জানা যায় সেই জোনাকির কাকিমা হয়।

মিত্তির বাড়িতে জোনাকির কাকিমা এসেই নানা ধরনের অভিযোগ করতে থাকে জোনাকির বিরুদ্ধে। এদিকে, জোনাকি যে কোন কাকিমা আছে তাকে নিয়ে জানতো না মিত্তির বাড়ির সদস্যরা। কথায় কথায় জোনাকি কাকিমা মিত্তির বাড়ির সদস্যদের বড় মনের কথা বলে। এই শুনে প্রমিলা তাকে এমন কথা কেন বলল জিজ্ঞাসা করাতে তিন বলে ওঠেন, ‘আমাদের আর অত বড় তো মন নয় যে একটা খুনের মেয়েকে বাড়িতে পুষবো’।
কাকিমার কথা শুনে কার্যত অবাক সবাই। কথায় কথায় জোনাকির কাকিমা সবাইকে বলে, জোনাকির মা তার বাবাকে খুন করে এখন সংশোধনাগারে রয়েছে। এই সমস্ত কথার মাঝে কোন কিছুই বলে উঠতে পারছি না জোনাকি। আর, এমন সময়তেই বাড়িতে এসে হাজির হয় ধ্রুবর বাবা এবং বলে, সে ভেবেছিল বাড়িতে এসে সমস্ত ভুল-বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেবে কিন্তু বাড়ির পরিস্থিতি পুরোটাই আলাদা দেখছে।
এরপর, বাড়ির সবাই সবার মতন করে মন্তব্য রাখছে আর তাঁদের মন্তব্যকে উস্কানি দিচ্ছে ধ্রুবর বাবা। এমন সময়, জেলার কাকা এসে হাজির হয় আর জোনাকি তাঁকে দোষারোপ করতে থাকে। এরপর, আসতে আসতে জেলার কাকা সবটাই জানায় মিত্তির বাড়ির সদস্যদের।
আরও পড়ুনঃ শুধু অভিনয় নয়, তিনি নাচে অসামান্য! ডান্স বাংলা ডান্সে এবার মঞ্চ কাঁপাতে আসছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়! ‘সুবর্ণলতা’র নাচে মুগ্ধ নেটপাড়া
এমন সময় আনন্দ ধ্রুবর বাবাকে থামিয়ে দিয়ে বলে এই ঘটনাটা কি এক পাশে সরিয়ে রেখে যদি ভাবা যায়, জোনাকির কাকিমাকে কি বুদ্ধিটা দিল এই সব সত্যিটা বাড়িতে এসে বলার। এরপর নানা কথার মাধ্যমে জোনাকি ধ্রুবকে বোঝাতে চাইলেও ধ্রুব কিছুতেই কোনো কথা বলে না। এই ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, পুরো ঘটনাটা দেখার পর ধ্রুব জোনাকিকে বলে, ”যে এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারি সে আর যাই হোক আমার স্ত্রী নয়। বেরিয়ে যাও বাড়ি থেকে”। কিন্তু এদিকে মনে মনে ধ্রুব বলে, “পরিস্থিতির কাছে আজকে আমি হেল্প লেস। তোমার সম্মান তোমাকেই তৈরি করতে হবে জোনাকি বিশ্বাস”।