জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। একসময় দর্শকদের পছন্দের সর্বপ্রথম তালিকায় থাকতো মিঠাই। তবে বেশ কিছুদিন ধরে এই ধারাবাহিকটিকে দর্শক আর সেভাবে পছন্দ করছে না। তাই জন্য ধারাবাহিক কর্তৃপক্ষ গল্পে কিছুটা অন্যরকম টুইস্ট আনার চেষ্টা করছে। যাতে মিঠাই আবার তার আগের স্থান ফিরে পেতে পারে।
মিঠাই ধারাবাহিকে কাউন্সিলর প্রমিলা লাহার আগমন হওয়া থেকেই ধারাবাহিকটির টিআরপি কমতে থাকে। তার একাধিক চক্রান্ত মোদক পরিবারের বিরুদ্ধে আর তা ভেদ করার চেষ্টা করতে থাকা মিঠাই এইসব আর দেখতে চাইছিল না দর্শক।
তাই জন্যেই বর্তমান পর্বে দেখা গেছে যে প্রমিলা লাহার সব চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছে মোদক পরিবার। জনসমক্ষে একজন ভালো জননেত্রী হওয়ার যে মুখোশ পড়েছিলেন প্রমিলা সেটিকে সবার সামনে তুলে এনেছে মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ।তাদের সাহায্য করেছে তোর্ষাসহ পুরো পরিবার। প্রমিলা লাহা মোদক পরিবারের সঙ্গে যা যা চক্রান্ত করেছে তারা তার প্রমাণ দিয়েছে পুলিশের কাছে। তাই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতার সে গ্রেফতার হওয়ার পরে মোদক পরিবার তো খুব খুশি সেই আনন্দের মাঝেই প্রমিলা লাহার গুন্ডারা মিঠাইয়ের ওপর হামলা করে। এই পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল ধারাবাহিকে।
তবে এবার আসন্ন পর্বে আমরা দেখতে চলেছি, যে মোদক পরিবার মিঠাইএর চিকিৎসা করিয়ে মনোহরায় ফিরে এসেছে। তারপরেই দেখা যাবে মনোহরার সামনে একটি অন্ধকার গলিতে সিদ্ধার্থকে কিছু গুন্ডারা মুখ চেপে মারতে শুরু করে। এবং তাকে তুলে নিয়ে যেতে যায়। তখনই তার দাদু বাইরে বেরিয়ে আসে এবং বলে কি হয়েছে!
এই গলিটা অন্ধকার কেন? সেই সুযোগে সিদ্ধার্থ গুন্ডাদের হাত ছেড়ে বেরোতে চেষ্টা করে। সেই সময় সিদ্ধার্থের বাবা, কাকা, রাতুল আর মিঠাইও বেরিয়ে আসে। তখন সিদ্ধার্থের বাবা রাতুলকে বলে যে দেখো সামনে কারা মারপিট করছে।তখন রাতুল এগিয়ে গিয়ে আলো মেরে দেখে যে কয়েকজন গুন্ডা সিদ্ধার্থকে মুখ চেপে মারছে। সেই দেখে রাতুল ভয় পেয়ে গিয়ে জোরে ‘সিড’ বলে চিৎকার করে ওঠে। এবার শুধু দেখার যে পরবর্তী পর্বে সিদ্ধার্থর কি কোন ক্ষতি করতে পারবে গুন্ডারা! নাকি মোদক পরিবার সেই গুন্ডাদের ধরে শাস্তি দিতে পারবে।