বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল আনন্দী (Anondi)। কয়েকদিন আগে শুরু হয়ে বর্তমানে এই ধারাবাহিক দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। সিরিয়ালে আনন্দী-আদিদেবের জুটির মধ্যে দিয়ে দর্শকরা ফিরে পেয়েছেন তাদের অতি পরিচিত জুটিকে। আর শুরু হতে না হতেই বেশ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ধারাবাহিকের গল্প।
আনন্দী আজকের পর্ব ১৩ অক্টোবর | Anandi Today Episode 13th October Update
আনন্দী ধারাবাহিকের গতকালের পর্বে দেখা যাবে বাবার মৃ’ত্যুর পরে আনন্দী শত কষ্টের মাঝেও নিজের সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেনি। আনন্দী ঠাম্মির সেবা করার জন্য ঠিক সময় মতো পৌঁছে গিয়েছে। আনন্দী নিজের সমস্ত মনের কথা খুলে বলেছে ঠাম্মিকে। আর নন্দিনী দিতে চলেছে এক বিরাট চাল। যেখান থেকে বেরোনো অসম্ভব। এর মধ্যে আদিদেব কি করবে সে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।

ধারাবাহিকের নতুন পর্বে দেখা যায় নন্দিনী এসে অদিদেবকে বলছে, “আমার কাছে মেডিনেস্ট সবকিছু, ওর থেকে বড় আমার কাছে আর কিছুই নেই। তাই তুমি যদি জয়েন না করো তাহলে আমি তোমার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।” এটা বলে চলে যায় নন্দিনী। আর ওখানে উপস্থিত প্রত্যেকে তারপর যে যার কাজে বেরিয়ে পড়ে। এই ঘটনা সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সবটা দেখতে থাকে আনন্দী। আর বেশ খারাপ লাগে তার আদিদেবের জন্য।
এরপর আদিদেব আস্তে আস্তে মা দুর্গা প্রতিমার কাছে এগিয়ে আসে। সে বলে, “তুমিও তো সবার মা। আমি তো তোমার থেকে বেশি কিছু চাইনি। আদি বলে, আমি শুধু মায়ের প্রাপ্য সম্মানটুকু চেয়েছিলাম। খুব কি বেশি কিছু চেয়েছিলাম আমি, যেটা দেওয়া যায় না। তাহলে এরকমটা কেন হল।” আদিদেবের কাছে সেখানে এগিয়ে আসে আনন্দী। আনন্দী বলে, “আমাদের সব খারাপের মধ্যে ভালোটাকে খুঁজে নিতে হয়।”
আরও পড়ুনঃ অবলাকে বেঁধে মণ্ডপসজ্জা! ছিচ্ছিকার দুনিয়ায়, হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে খোলা চিঠি দেবলীনার
একটা মৃ’ত্যু দিয়ে সবটা যাচাই করা যায় না। এরপর আনন্দী বলে, আদিদেবের উচিত আবার নিজের কাজ শুরু করা। নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে ঘটনাটিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। আর প্রমাণ করে দেওয়া যে গোটা ঘটনাটা কারসাজি। তাহলে আবার সবাই ফিরে পাবে নিজের হারানো জায়গা। আদিদেব কথাটা শুনে এবার বুঝতে পারে, নিজের বাবাকে জানিয়ে দেয় সে আবার কাজ করবে। আদি বোঝে আনন্দী ভুল বলেনি। এভাবে সত্যিই দরকার তার মায়ের বদনাম ঘোচানো।