জি বাংলার পর্দায় চালু হওয়া এক ঝাঁক নতুন ধারাবাহিকগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো আনন্দী (Anondi)। ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে মাত্র কয়েকমাস হয়েছে ঠিকই কিন্তু ইতিমধ্যে এই ধারাবাহিকের গল্প দর্শকদের মন অধিকার করে নিয়েছে। ধারাবাহিকটি প্রতি সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় ভালো নম্বর পাচ্ছে আর প্রতি সপ্তাহে ভালো ফলাফল করেছে।
আনন্দী ধারাবাহিকের গতকালের পর্বে দেখানো হয়েছে যে, আদির কাছে নিজেকে নি’র্দোষ প্রমাণ করার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করে চলেছে আনন্দী। কিন্তু আনন্দীর সামনে একের পর এক বাধা যেন এসেই চলেছে। যার কারণে নিজেকে কোনও মতেই নির্দোষ প্রমাণ করতে পারছে না সে। এর মধ্যে, নন্দিনী, তিতির সমানে আনন্দীর পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আনন্দীও হাল ছাড়ার দেওয়ার পাত্রী নয়। সে ঠিক প্রমাণ করে ছাড়বে যে সে আসলেই সত্যি কথা বলেছে।
আনন্দী আজকের পর্ব ৬ নভেম্বর (Anondi Today Episode 6 November)
ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতে দেখানো হবে আদি সকালে নার্সিংহোমে যাবার জন্য রেডি হয়ে অপেক্ষা করছে ব্রেকফাস্ট টেবিলে। কিন্তু আদির খাবারের লিস্ট শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যায় আনন্দী। আদির নানান রকম খাবারের বায়না আছে। আনন্দী নিজের কায়দায় আদির সামনে ব্রেকফাস্ট হাজির করে। ঠিক সেই সময় সেখানে এসে হাজির হয় তিতির। তিতির, আদির জন্য নিজের হাতে খাবার বানিয়ে আনে। নন্দিনী এসে আদিকে দিওয়ালি পার্টির জন্য আমন্ত্রণ করে।
সেই সময় তিতির ও আদিকে দিওয়ালি পার্টিতে কপল ডান্স করার জন্য বলতে থাকে নন্দিনী। কিন্তু আদি প্রথমে রাজি হয় না। পরে নন্দিনী আনন্দীকে জ্বালানোর জন্য দুজনকে নাচ করার কথা বলতে থাকে। আদি প্রথমে কিছুতেই রাজি হয় না। পরে তিতির জোর করাতে তারা একসঙ্গে উপরে গিয়ে নাচ প্র্যাকটিস করতে থাকে। আর এসব দেখে আনন্দী প্রচন্ড ক্ষেপে যায় তিতিরের উপর। বিজয়া আদিকে ডাকতে গেলে তাকে বাধা দিয়ে আনন্দী বলে, তারা এবার এমন কাজ করবে যে আদি তিতির নিজে থেকেই নিচে নেমে আসবে।
আরও পড়ুনঃ ইশার ফাঁদে আটকা পর্ণা-সৃজন! মা কালী রূপে কে এলো তাদের বাঁ’চাতে?
এরপরে সবাই মিলে নাম কীর্তন করতে থাকে। আর সেই শুনে আদি তিতির ঘর থেকে বেরিয়ে নিচে চলে আসে। আদি তখন আনন্দীর উপর প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে যায় এবং তিতির যাওয়ার সময় আনন্দীকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ে। আজ আদি ও তিতিরের সঙ্গে সারারাত দিওয়ালি পার্টিতে নাচ করবে। তাই আজ আর আদি রাতে বাড়ি ফিরবে না। আনন্দীও তিতিরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বরেরা সারাদিন যতই বাইরে থাক না কেন, দিনের শেষে বউয়ের কাছেই ফেরে।