বর্তমানে ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়ানো একটা ট্রেন্ড হয়েছে বাচ্চাদের এন্ট্রি করানো। অনুরাগের ছোঁয়া, মিঠাই এইসকল জনপ্রিয় ধারাবাহিকের কথা ভেবেই অন্যান্য ধারাবাহিকগুলোও একই কাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, ধারাবাহিক জনপ্রিয় করার এই একটা ভালো উপায়। আমরা দেখে এসেছি, মিঠাই প্রথম থেকেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু মিঠাই-এর মৃত্যুর পর তার টিআরপি কমে যেতে শুরু করে।
ফের নতুন করে ‘মিঠাই’-তে শাক্য আর মিষ্টির এন্ট্রি টিআরপি চূড়ায় এনে দে। জি বাংলার অনেক ধারাবাহিকেই এরকম ছোটো ছোটো খুদেরা অভিনয় করছে। ধারাবাহিকগুলো জনপ্রিয় না হলেও ছোট্ট শিল্পীরা বেশ জনপ্রিয়। আর তাদের এই অভিনয় করাটাও এতো সহজ নয়। অনেক সিন্ তাদের বোধগম্য না হলেও তাদের সেখানে অভিনয় করে যেতে হয়।
আর তাই বড়দের থেকে ছোটদের অভিনয় করাটা একটু বেশি কঠিন। তাদের চর্চাও বিশাল করতে হয়। কিন্তু এরপরও তাদের প্রতিজনের অভিনয় হয় মন ছুঁয়ে নেওয়ার মতো। এরপরও তাদের সকলের কপালে পুরস্কার জোটে না। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হয়ে গেল জি বাংলা সোনার সংসার অ্য়াওয়ার্ড ২০২৩-এর মেইন ইভেনট। তারকাখচিত রাতে পুরস্কারের মঞ্চে হাজির হন পর্দার জনপ্রিয় চরিত্ররা।
সেরা ধারাবাহিক থেকে শুরু করে সেরা বাবা, সেরা মা, সেরা বর-বউ, সেরা নায়ক-নায়িকার একাধিক বিভাগে সেরার সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুরস্কার। পুরস্কার পেয়েছেন সকলের প্রিয় ধারাবাহিকের সদস্যরাও। গত বছরে মিঠাই-এর হাতে উঠেছিল অনেকগুলি প্রাইজ। আর এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিল মিঠাই পরিবার। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে অনেক দর্শকদেরই মুখ ভার। অনেকেরই মনে হয়েছে জি বাংলার প্রতিটি ধারাবাহিকের ছোটদের প্রাইজ দেওয়া উচিত।
এক দর্শক একটি পোস্টে লেখেন, “জি-এর মতো ২ টাকার সস্তার চ্যানেল আর একটাও নেই,,,, সব সিরিয়ালের বাচ্চাগুলো কত সুন্দর অভিনয় করে। কত কষ্ট করে Acting করে ওরা,, ফালতু জি এদের Trophy দিবি না দিস না। সামান্য কি গিফ্ট দেওয়া যায় না ওদের? আগে তো দিতো এখন সব উঠিয়ে নিচ্ছে। দিন দিন অবনতি হচ্ছে চ্যানেল টির। ডুবে মর”।