ধারাবাহিক মানে আমরা জানিই গল্পের গরু শুধু গাছে চড়তে নয়, সমুদ্রে সাঁতার, মহাকাশে রকেট ওড়াতে আরও অনেক কিছুই করতে পারে। আর মজার বিষয় দর্শকরা কিন্তু এগুলোই দেখতে পছন্দ করে। আর পছন্দ করে বলেই তো নির্মাতারা এরকম মশলা ঢেলে দেন।
তাই বাংলা ধারাবাহিকের আরও একটা খুব চেনা ছক আছে। একটা হিরো হবে আর একজন হিরোইন থাকবেন। তাঁদের মধ্যে কিন্তু প্রথম থেকে খুব একটা মিলমিশ থাকবে না। মূলত হিরোইন নিজের ভাবনায় চলেন। আর তার ঠিক উল্টো ভাবনা রাখে হিরো। তাই তাঁদের বন্ধুত্ত্বও হওয়ার কথা নয়। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে পরে মাঝে মধ্যেই তাঁদের একসঙ্গে বহু কাজ করতে হয়।
আবার কাজ নয়, হয়তো একসঙ্গে বহু সমস্যারও সমাধান করতে হয়। আর এইসব করতে করতেই একদিন হুট করেই তাঁদের সোজা বিয়ে হয়ে যায়, তাঁদের অজান্তেই। মানে হ্যাঁ, তাঁরা কিন্তু তাঁর দু মিনিট আগেও জানতো না যে তাঁদের বিয়ে হবে। কিন্তু হয়ে যায়। আর এই চেনা ছকটা দর্শকরা বহু সময় ধরে দেখে এলেও আজও সমান ভাবে উপভোগ করে।
তাই এই ছকেই জি বাংলার “মন দিতে চাই” ধারাবাহিক সেজে উঠেছে। মূল চরিত্র সোমরাজ ব্যানার্জীর মেয়েদের প্রতি একটুও আস্থা নেই। কারণ তাঁর মা তাঁকে ছোটবেলায় ছেড়ে যায়। এদিকে তাঁর প্রথম প্রেমিকও তাঁকে ঠকায়। কিন্তু ওদিকে তিতির একদম নিজের ঠাঁটে থাকা মেয়ে।
এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জি ও অরুণিমা হালদার। এদিকে সিরিয়ালের একটি প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, তিতিরের দিদি দোয়েলের বিয়ে হচ্ছে। সিঁদুর দান হতেই যাবে এমন সময় সোমরাজ আর তার ভাই জয় এসে জানায় তিতিরের জামাইবাবু জোচ্চোর।
এবার বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু তখন জয় তাঁর মনের কথাও জানিয়ে দেয় যে সে দোয়েলেকে ভালোবাসে। তখন আবার বিয়ের ঠিক হলে হঠাৎই সোমরাজ ও জয়ের মা এসে জানায় সোমরাজের বিয়ে না দিয়ে জয়ের বিয়ে হবে না। আর এরপরই হুট করে সিঁদুরের থালা নিয়ে তিতিরের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয় সোমরাজ।