জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্যকে আটক করে রেখেছে মেঘরাজ। প্রাণে মে’রে ফেলতে চায় সে আর্যকে, কিন্তু অপর্ণার সামনে। সেখানেই আর্যর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে, মনে মনে সে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে যেন অপর্না, নিরাপদে বাড়ি ফিরে যায়।
আর্য নিজের মনে আক্ষেপ করে বলে, অপর্ণা তার মুখে ভালোবাসা স্বীকারোক্তি শুনতে চেয়েছিল কিন্তু আজ হয়তো সে না বলেই মারা যাবে, তবুও অপর্ণাকেই সে ভালোবেসেছে। অন্যদিকে অপর্ণা রাস্তায় পাওয়া সেই মেয়েটিকে গুন্ডাদের হাত থেকে বাঁচাতে পিছু নেয়। কিছুদুর যেতেই গুন্ডাদের সামনাসামনি হয় সে, হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অপর্ণাকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয় তারা, হাতের সামনে থাকা একটা রড দিয়ে গুন্ডাদের জব্দ করে অপর্ণা। তারপর মেয়েটিকে নিয়ে থানায় অভিযোগ করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। এদিকে কিঙ্কর লোকেদের নিয়ে মেঘরাজের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
অন্যদিকে থানায় অপর্ণার মা-বাবা, আর্যর মা এবং অর্ক হাজির হয় অপর্ণার নামে মিসিং ডায়েরি করতে। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে না চাইলেও, পরে আর্যর মা নিজের পরিচয় দিলে পুলিশ অভিযোগটি নেয়। এমন সময় সেখানে উপস্থিত হয় অপর্ণা সেই মেয়েটিকে নিয়ে। অপর্ণা কে সুস্থ দেখে কেঁদে ফেলেন মা-বাবা।
অপর্ণা জানাই তাকে অপহরণ করে, একটা বন্ধ জায়গায় আটক করে রাখা হয়েছিল। সুযোগ পেতেই সে জানলা দিয়ে পালিয়েছে, পরে রাস্তায় এই মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে হাসপাতালে কিঙ্কর আর্যকে নিয়ে আসে। আর্যর এই অবস্থা দেখে মীরা ভেঙে পড়ে। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, যেটুকু রক্ত তাকে দেওয়া হয়েছিল সেটাও বেরিয়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ ঝগড়াহীন প্রেমে হিট অনুষা-আদিত্য, তবে কি শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে? কি জানালেন অভিনেত্রী?
অবস্থা আরও খারাপ, তবে শেষ চেষ্টা একটাই ওষুধ যেটা ভালোর থেকে ক্ষতি বেশি করে। ইনজেকশনটা আর্যকে দেওয়ার পর থেকেই সে আরও বেশি স্পর্শকাতর অবস্থায় চলে যায়। এত কষ্ট পেতে দেখে আর্যকে মীরা কান্না থামাতে পারে না, এদিকে কিঙ্করও নিজেকে অপরাধী মনে করে। থানায় অপুও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে আর্যর অবস্থা জেনে।