জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য প্রস্তাব দেয় অর্ককে অপুর প্রমোশন উপলক্ষে অফিসে একটা পার্টি রাখার। অর্ক প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় দুটো মিলে বেরিয়ে পড়ে আয়োজন করতে, তাদের সঙ্গ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে মানসী। অফিসে সবাই মিলে সুন্দর করে সাজায়, আর্য কেক নিয়ে আসে অপুর পছন্দের।
বুদ্ধি করে আর্য দরজার উপরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি রেখে দেয়, যাতে অপর্ণা দরজা খুলতেই পুষ্প-বৃষ্টি হয়। সবাই অপুর জন্য অপেক্ষা করতেই থাকে, এমন সময় দরজা খুলে মীরা ভেতরে ঢুকে আসে। যথারীতি মীরার মাথাতেই গোলাপ ফুলের পাপড়ির বৃষ্টি হয়। আর্য কিছুটা হতাশ হয় এই পরিস্থিতিতে। উল্টোদিকে মীরা মনে করে, তার ফিরে আসার জন্যই এত কিছু আয়োজন।

মীরার ভুল ভেঙ্গে যায় মানসী, পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় অপু অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেসিডেন্ট পদে প্রমোশন পাওয়ায়, তার জন্য সেলিব্রেশন হচ্ছে। এই কথা শুনতে মীরা প্রচণ্ড রেগে যায়, আর্যকে কথা শোনাতে শুরু করে অপর্ণার প্রমোশন নিয়ে। সেই মুহূর্তে অপু অফিসে চলে আসে, মীরার মুখে নিজের সম্বন্ধে কটুক্তি শুনে রেগে যায় সে। আর্য মীরাকে স্পষ্ট জানায়, এই সিদ্ধান্ত তার একান্ত ব্যক্তিগত।
অপু কোনও ভাবে সেটা প্রভাবিত করেনি। মীরা রেগে চলে যাওয়াতে, অপু তার সঙ্গে কথা বলতে যায়। প্রমোশন নিয়ে মীরার আপত্তি জানতে চাইলে, অপুকে সে বলে এত কম বয়সে এমন পদ তার প্রাপ্য নয়। অপুর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে মীরা। অপুকে কটাক্ষ করে মীরা বলে, ব্যবসায়ী পরিবার ছাড়া এমন পদ সামলানো যায় না, যেখানে অপুর বাবা শাড়ি বিক্রেতা। এই ঘটনায় অপু কিছুটা আঘাত পায়।
আরও পড়ুনঃ “বাংলায় গান গেয়ে রোজগার করা কঠিন, এখনও লড়ছি”— ত্রিশ বছরের সংগীত সফরে অকপট রূপঙ্কর!
আর্যকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, এই পদোন্নতি সে প্রত্যাখ্যান করছে। আগের পদে থেকেই রাজনন্দিনী শাড়ির ২৫ শতাংশ উন্নতি করে দেখাবে এক সপ্তাহে। তারপর নিজের যোগ্যতায়, সর্বসম্মতিতে পুনরায় এই পদ গ্রহণ করবে সে। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেয় এক সপ্তাহ আর্য যেন তার সঙ্গে দেখা না করে। যাতে কেউ না বলতে পারে পক্ষপাত হয়েছে। আর্য মনে করে, সেদিনের ঘটনায় অপু রেগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।