জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণাকে রুম্পা বারবার বলতে থাকে আর্যকে একবার ফোন করে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে। অন্যদিকে আর্যও অপর্ণার সঙ্গে কথা বলতে চায়, কিন্তু যে ব্যবহার সে অপর্ণার সঙ্গে করেছে তারপর কী বলবে জানে না। আর্য অপর্ণাকে ম্যাসেজ করতে গিয়েও পিছিয়ে আসে।
অবশেষে অপর্না নিজের থেকেই ফোন করলেও আর্য কেটে দেয়, কথা বলে নিজেকে দুর্বল করবে না তাই। অপর্ণার মন ভেঙে যায় আবার, আর আর্যও ভাবে যে এই দূরত্ব তাদের দুজনের জন্যই ভালো। এরপর দেখা যায়, মানসী এসে রাজলক্ষ্মীকে জানায় যে জন্মাষ্টমী পুজোর সব আয়োজন হয়ে গেছে এবং অতিথিদেরও নিমন্ত্রন করা শেষ, শুধু অপর্ণাদের আর্য বারণ করেছে বলে করা হয়নি।
মানসী জানায়, যেভাবে বিপদের সময় অপর্ণার বাবা আর্যকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন, তারপর ওদের নিমন্ত্রণ করতেই হয়। রাজলক্ষ্মীকে মানসী প্রস্তাব দেয়, অপর্ণদের বাড়ি গিয়ে পুজোর কথা বলে আসার। এরপর সেই মতো দুজনে অপর্নাদের বাড়ি যায়, অন্যদিকে আর্যর গাড়ি দেখে অপর্না ভাবে যে আর্য তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।
বাড়ি এসে দেখে রাজলক্ষ্মী আর মানসী তাদের নিমন্ত্রণ করতে এসেছে। অপর্ণা প্রথমে না করে দিলেও, তার বাবা রাজি হয়ে যান। পরদিন পুজো শুরু হলে সব অতিথিরা আসতে শুরু করে, মীরাও এসে উপস্থিত হয়। সে বারবার বাড়ির বউয়ের মতো আচরণ করতে থাকে, কিন্তু মানসী তাঁকে মনে করিয়ে দেয় যে মীরা এই বাড়ির কেউ নয়।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই বড় চমক, ঋতুপর্ণার হাত ধরে প্রযোজনা সংস্থার পথে হাঁটছেন শ্রীময়ী? মাতৃত্বের কারণে বহুদিন পর্দার আড়ালে থাকার পর, এবার সরাসরি টাইমস স্কোয়্যারে শ্রীময়ী! দ্বৈত প্রযোজনায় আসছে কোন নতুন ছবি?
এদিকে আর্যকে রাজলক্ষ্মী গোপাল প্রতিষ্ঠা করতে বলেন, আর অপর্ণারও এসে হাজির হয় তখনই। সিংহ রায় বাড়িতে পা রাখতেই অপর্ণার শরীর খারাপ লাগতে থাকে আর আবছা স্মৃতি মনে পড়তে শুরু করে। দোতলার সেই বন্ধ ঘরের দরজা নিজের থেকেই খুলে যায়। আর্য অন্যমনস্ক হতেই গোপাল হাত দিয়ে পড়ে যেতে দেখে, অপর্ণা ছুটে এসে রক্ষা করে।