জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য আর কিঙ্কর অপহরণকারীর খোঁজে গিয়ে মেঘরাজকে পায়। স্বাভাবিকভাবে তারা মনে করে মেঘরাজই এইসব কিছুর পেছনে রয়েছে। কিন্তু মেঘরাজ জানায় তাকেই অপহরণ করা হয়েছিল প্রথমে এবং নানান ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।
কে অপহরণ করেছিল তার মুখ সে দেখতে পায়নি। তবে আর্যকে সাবধান করে দেয় মেঘরাজ যে, তার থেকেও বড় শত্রু আছে যে প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে। এরপর সুযোগ বুঝে মেঘরাজ পালিয়ে যায়। কিঙ্করকে আর্য চারিদিকটা খুঁজে দেখতে বলে, অপর্ণার কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওদিকে কাঁপতে কাঁপতে অপর্ণা অচৈতন্য হয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ বাদে জ্ঞান ফিরে আসলেও, সে একটা ঘোরের মধ্যে চলে যায়। হঠাৎ সে কারোর কথা না শুনে অষ্টমীর মতো অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাঁর পেছনে সবাই মিলে যেতে থাকে। একটা সময় অপর্ণা গ্রামের পুরোনো মন্দিরে পৌঁছায়। সেখানে তারা সুন্দরী মায়ের মতো একটা রুদ্র মাতঙ্গী মূর্তি খুঁজে পায় অপর্ণা। সেখানে মাথা ঠুকতে ঠুকতে অজ্ঞান হয়ে যায় অপর্ণা।
এদিক ফেরার পথে আর্যর গাড়ি খারাপ হয়ে যায় মাঝ রাস্তায়। সে বুঝতে পারে না, অন্ধকারে কোন পথে যাবে। হঠাৎ তারা সুন্দরী মায়ের গলা শুনতে পায়, তিনি বলেন পশ্চিমের দিকে যেতে কার্তিক অমাবস্যাতেই আর্যর কাছের মানুষ ফিরে আসবে। কিছু না বুঝতে পারলেও আর্য সেখানে গিয়ে অপর্ণার পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। কি করবে কিছুই বুঝতে পারে না।
ঘোর কাটতেই অপর্না আর্যকে জড়িয়ে বারবার বলতে থাকে তাকে ছেড়ে না যেতে। আর্যর চোখের সামনেও রাজনন্দিনীর স্মৃতি ভাসতে শুরু করে। এরপর তারা সুন্দরী মা এসে বলেন অপর্ণার হাতে বেশি সময় নেই তাকে বাঁচাতে হলে এই মুহূর্তে আর্যকে মা রুদ্র মাতঙ্গীর বিভূতি আর তেল-সিঁদুর কপালে লেপে দিতে হবে। কিছুক্ষণ ভাবার পর, সবার অনেক অনুরোধে আর্য শেষমেশ অপর্ণার কপালে সিঁদুর লেপে দেয়।
আরও পড়ুনঃ “নতুন জামার আনন্দও বোঝে না, উৎসবও উপভোগ করে না, হাতে শুধু ফোন”—নতুন প্রজন্মকে নিয়ে অকপট অপরাজিতা আঢ্য! মোবাইল আর ইন্টারনেটেই শেষ বর্তমান প্রজন্ম? প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী
ভবিতব্যের ফেরে সেই সিঁদুর অপর্ণার সিঁথিতেও লেগে যায়। গ্রামের সবাই বলতে থাকে আজকের দিনে বিয়ে হলে জন্ম জন্মান্তর তারা একই থাকে। রাজলক্ষ্মীও কথা দেন, মায়ের সিঁদুরের সম্মান রেখে অপর্ণাকে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি নিয়ে যাবে। অবশেষে তারা সুন্দরী মা তাদের সাতবার প্রদক্ষিণ করতে বলে মূর্তিকে।
