জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, হিন্দোলের মায়ের দেওয়া আশীর্বাদী গয়না ফিরিয়ে দেয় অপর্ণা। সে জানিয়ে দেয় বিয়ের আগে কিছু নিতে পারবে না। সামনে এটা বললেও, মনে মনে তার গভীর আস্থা যে এই বিয়েটা হবে না। একটু মনঃক্ষুণ্ণ হয়েই হিন্দোলের মা চলে যান।
অপর্ণার আইবুড়ো ভাতের পর্ব শেষ হলে, মা জানতে চান বিয়েতে মেয়ে তাঁর শাড়ি পড়বে কিনা। অপর্ণার মা বলে, তার বিয়ের শাড়ি যথেষ্ট পুরনো তবে যত্ন করে রাখা। ইচ্ছে ছিল মেয়ে এই শাড়িটা পড়েই বিয়েতে বসবে। অপর্ণা জানায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই ওই শাড়িটা পড়তে। এরপর একে একে প্রতিবেশীরা এসে অপর্ণাকে উপহার দিয়ে যায়। বিয়ে সংক্রান্ত নানান রকম কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে অপর্ণার মা।
বিরক্ত হয়ে অপর্ণা জানায়, সবকিছু তার মা-বাবার ইচ্ছাতেই হচ্ছে। কোন কিছুতেই বাধা দেয়নি সে, যা চেয়েছে সবটাই দিয়েছে। এবার নিজেকে শক্ত করে অপর্ণা বলে যে মা-বাবা যদি প্রাণটাও চায় সে দিয়ে দিতে পারে। এমনিতেই আর্যকে ভুলতে গিয়েই তার আত্মা মা’রা গেছে, বেঁচে আছে শুধু শরীরটা। এই বলে অপর্ণা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, অপর্ণার মা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
অন্যদিকে, আর্যকে কিঙ্কর সতর্ক করছে অপর্ণার বিয়েতে না যেতে। আর্য স্পষ্ট করে তাকে জানিয়ে দেয়, নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নয়, সে-ই নেবে! কিঙ্করকে আর্য জানতে চায়, কেন অপর্ণাকে তার পছন্দ নয়? মুখে কিছু না বললেও, কিঙ্কর জানে যে অপর্ণার মধ্যে ক্ষমতা আছে অতীতকে খুঁড়ে বের করার। সেই জন্যই সে চায় না আর্য-অপর্ণার সম্পর্কটা হোক।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ভিন্ন পথে পা বাড়ালেন রাহুল-দেবাদৃতা। এবার আর সেলিব্রেটি তকমা নয়, একেবারে সাধারণ বেশেই মানবিক কাজ করলেন দুজনে! মন ছুঁয়ে গেল নেটপাড়ার
পরদিন সকালে নির্ধারিত জায়গায় হিন্দোল-অপর্ণার গায়ে হলুদের ব্যবস্থা হয়। আর্য কাউকে কিচ্ছু না জানতে দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান লুকিয়ে দেখতে থাকে। বিকেল হতেই বিয়ের সাজে অপর্ণা অপেক্ষা করছে, এমন সময় তার মা এসে জানান হাতে আর সময় নেই। অপর্ণা যেন তাড়াতাড়ি আর্যর কাছে পালিয়ে যায়। প্রথমে কিছুটা অবাক হলেও, পরে আর্যকে ফোন করে অপর্ণা জানায় সে আসছে যেখানে প্রথম ভালবাসার কথা জানিয়েছিল।