জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

এক বছরের আগেই বিদায় নিচ্ছে জি বাংলার ‘মিত্তির বাড়ি’! ‘মিঠাই’-এর পর আদৃতকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল সব! ধ্রুব-জোনাকির অসমাপ্ত কাহিনি দিয়েই শেষ, নাকি শেষ পর্বে ফিরছেন পারিজাত?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির ভিড়ে খুব বেশি দিন টিকতে পারল না ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari Ending)। প্রায় এক বছরও পূর্ণ হল না, তার আগেই শেষ হতে চলেছে এই ধারাবাহিক। নভেম্বর ২০২৪-এ অনেক আশা নিয়ে শুরু হলেও দর্শকের প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে গল্প। সোমবার শেষ দিনের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে, আর চূড়ান্ত সম্প্রচার সম্ভবত আগস্ট মাসেই হবে। ছোটপর্দায় ‘আদৃত রায়’ (Adrit Roy) -এর কামব্যাকের গল্পটা তাই অসম্পূর্ণ রেখেই থেমে যাচ্ছে এই অধ্যায়। ‘মিঠাই’-এর (Mithai) সাফল্যের পর দর্শক যে আশা করেছিলেন, তা কোনওভাবেই পূরণ করতে পারল না ‘মিত্তির বাড়ি’।

শুরুর দিক থেকেই টিআরপি তালিকায় ধারাবাহিকটি খুব একটা ভালো ফল করতে পারেনি। প্রথম দিকে গল্পে আকর্ষণীয় বাঁক না থাকায় দর্শক একে একে আগ্রহ হারাতে থাকেন। তবে শেষ কয়েক মাসে নির্মাতারা গল্পে একাধিক পরিবর্তন আনেন। হঠাৎ করে সময় এগিয়ে দেওয়া হয় বহু বছর, আর মূল নায়িকা পারিজাত চৌধুরীকে মৃত বলে দেখানো হয়। তাঁর পরিবর্তে জায়গা করে নেন ঈপ্সিতা মুখোপাধ্যায়, তবে এই পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

দর্শকদের কৌতূহল থেকেই গেছে, কেন হঠাৎ এমনভাবে মূল চরিত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল। যদিও শুরুতে পারিজাতকে আদৃতের বিপরীতে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই, সমাজ মাধ্যমে তাঁকে কটাক্ষও শুনতে হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্রুব-জোনাকি জুটিকে দর্শক আপন করে নিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁদের কেমিস্ট্রি জনপ্রিয় হতে থাকে। ঠিক তখনই গল্পে জোনাকির মৃত্যু দেখানো হয়, যা ভক্তদের ভীষণভাবে আঘাত করে। তারা বারবার দাবি করতে থাকেন, জোনাকিকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই টিকে ছিল ধারাবাহিকের শেষ পর্যায়ের আশা। এখন প্রশ্ন একটাই—শেষবার কি জোনাকি-ধ্রুবকে আবার একসঙ্গে দেখা যাবে? শোনা যাচ্ছে, শেষ দিনের শুটিংয়ে নাকি উপস্থিত ছিলেন পারিজাত চৌধুরী। যদিও তিনি চরিত্রে ফিরবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। হতে পারে তিনি শুধুমাত্র সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে শেষ দিনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে গিয়েছিলেন। তবে দর্শকদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে পূরণে হয়তো নির্মাতারা শেষ চমক রাখতেই পারেন।

বাংলা টেলিভিশনের জগতে খুব কম ক্ষেত্রেই নায়ক বা নায়িকা হঠাৎ বদলে যান। ‘মিত্তির বাড়ি’-তে এই সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণ কী, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। অনেকের ধারণা, কোনও বিশেষ সমস্যার জেরেই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। তবে শেষ দিনের পর্দায় দর্শকরা কী চমক দেখতে পাবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। টিআরপির চাপ সামলাতে না পেরে থেমে গেল এই ধারাবাহিক, কিন্তু ভক্তদের মনে রয়ে গেল ধ্রুব-জোনাকির অসমাপ্ত কাহিনির জন্য একরাশ আক্ষেপ।

Piya Chanda