জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় দ্বিতীয়বার পারুল আর রায়ান তপনের বাড়িতে তাঁর নাতির খোঁজে যায়। অনেকক্ষণ দরজার বাড়িয়ে দাঁড়ানোর পর তূর্যের মা বেরিয়ে আসতেই পারুল বলে তাঁর ছেলেকে ডেকে দিতে। তিনি জানান যে তাঁর ছেলে অনেকদিন আগেই মারা গেছে এখন তিনি একাই থাকেন, বলে পারুল-রায়ানের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়।
পারুল-রায়ান চলে যেতেই তূর্য মাকে বলে পারুল আবার আসবে যতক্ষণ না ও কোনও পাকা প্রমাণ পাচ্ছে। তূর্য বইয়ের পাতা থেকে একজনের ছবি কেটে ফটোফ্রেমে আটকে দিয়ে দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেয়, যাতে পারুলের বিশ্বাস হয় যে সত্যিই ওনার ছেলে মারা গেছে। অন্যদিকে পারুল রায়ানকে বলে যে করেই হোক তাদের আবার ওই বাড়ির ভিতরে ঢুকতে হবে কারণ পারুল বিশ্বাস করে না যে ওনার ছেলে মারা গেছে, উল্টে প্রমাণ চায় পারুল।

রায়ান কারণ জানতে চাইলে, পারুল বলে ওনার ছেলের মৃত্যুর কথা বলার সময় কোনও আবেগ ছিলনা পুরোটাই কেমন যেন ভয় ভয় বললেন। পারুলের মনে পড়ে একটা ভাঙা জানলা আছে ওই বাড়িতে, ওটা দিয়েই ঢুকবে রাতে ঠিক করে দুজনে। রাতে ওই জানলা দিয়ে ঢুকে ঘর খুঁজে কিচ্ছু পায়না দুজনে উল্টে ওই ছবি দেখে বিশ্বাস হয়ে যায় যে সত্যি কথাই বলছিলেন উনি। পারুল-রায়ান বেরিয়ে যেতেই দেখা যায় উনি জেগেই ছিলেন, কারণ আগে থেকেই তূর্য সবটা বলে গিয়েছিল কি কি করতে পারে ওরা।
অন্যদিকে নেড়া গোয়ালে মালতীর স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। চঞ্চল রুক্মিণীর হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চায় যে অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে, রুক্মিণী বলে মালতীর কাছে ক্ষমা চাইতে, মালতী যদি ক্ষমা করে তবেই কিছু হতে পারে। মালতীর কাছে ক্ষমা চাইলেও কোনও লাভ হয়না, চঞ্চল এবার গোপালের কাছে ক্ষমা চায় আর বলে যা শাস্তি দেবে সে মাথা পেতে নেবে কিন্তু জেলে যাবে না। গোপাল বলে মালতীর সাথে তাঁকেও স্কুলে যেতে হবে।
রুক্মিণী বলে যদি দুজনেই একসাথে পড়াশোনা করে তাহলে আর কারোর কোনও রাগ থাকবে না দুজনের উপর। তাঁদের সংসার চালানোর দায়িত্ব নেয় রুক্মিণী আর গোপাল, যদিও গোপালের বাড়ির লোকেরা এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন। এদিকে পারুল-রায়ান বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি খারাপ হয়ে যায়, ঠিক সেই সময়ে পারুল লক্ষ করে তাদের পাশ দিয়ে তূর্য গাড়ি নিয়ে চলে যেতে। পারুল অনেকবার ডাকে তবুও সে উত্তর দেয় না।
আরও পড়ুনঃ এবার রাজবাড়ির গোপন রহস্য ফাঁস! ফুলকির জেদের কাছে ছোট রানীর ক্ষমতা মুখ থুবড়ে পড়ল! রাজমহলে ফুলকি নিয়ে এলো পরিবর্তনের ঝড়! ফুলকি কি পারবে বড় রানীকে যোগ্য সন্মান ফিরিয়ে দিতে?
একে গাড়ি খারাপ হয়ে যায় তার উপর বৃষ্টি এসে যাওয়াতে ভিজে যায় দুজনে। তাঁদের বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিতে হয় একটা হোটেলে, পারুলের ঠান্ডা লেগে হাঁচি কাশি শুরু হয়ে যায়। রায়ান ওষুধের নাম করে মাদক সেবন করিয়ে দেয় তাঁকে, নেশার ঘোরে দুজনে নাচ গান করতে থাকে। তবে কি এবার কাছাকাছি আসছে পারুল-রায়ান? এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।