জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

গোপালকে ফেলে সব ছেড়ে বিদেশ পাড়ি দিল রুক্মিণী! পিসিমণির সমর্থনে আরও শক্ত পারুল, নিজের সিদ্ধান্তে অনড় সে! এবার রায়ান-পারুলের পথও আলাদা! হঠাৎ বি’স্ফো’র’ণের নেপথ্যে রহস্য কী?

জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ানকে রুক্মিণী ফোন করে বিদেশ যাওয়ার কথাটা বলে, আর সাবধান করে দেয় যেন দাদু না জানতে পারে। এরপর দেখা যায় একদিকে রায়ানের দাদা মৈনাক এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে লুচি-মাংস খাওয়া নিয়ে। রায়ান কারণ জিজ্ঞেস করলে বৌদি বলেন, বিয়ের এতদিন হয়ে গেল তাও সন্তান এলো না। এবার সে চাইছে মা হতে।

ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনেছেন যে স্বামীর ওজন কমাতে হবে, তাই খাওয়া নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করছেন। রায়ান বলে কিছুদিন কোথাও দিয়ে ঘুরে আসতে, তার সমস্ত আয়োজন রায়ানই সামলে নেব। অন্যদিকে ন্যাড়া-গোয়ালে রুক্মিণী আর গোপাল মিলে সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে, এমন সময়ে মালতী আর গোপালের বৌদি এসে উপস্থিত হন। চোখে জল নিয়ে দুজনেই রুক্মিণীকে প্রশ্ন করে, সে কী আর ফিরে আসবে না?

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

রুক্মিণী জানায়, সবাইকে একদিন এগিয়ে যেতে হয় জীবনে। যেমন করে সে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনই তাঁদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। তন্তু সজ্জার কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দেয় রুক্মিণী তাঁদের, দরকারে গোপালের সাহায্য নিতে বলে। এদিকে পারুলকে নিজের ব্যাগ গোছাতে দেখে পিসিমণি বুঝে যান। তিনি পারুলকে বলেন, পারুল যে বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা যথাযথ।

তিনি জানান, একটা সময়ে সেও নিজের শর্তে বাঁচতে চেয়েছিল। কিন্তু পারুলের মতো তাঁর এত সাহস ছিল না। তিনি বলেন, কাউকে বলবেন না পারুলের এই সিদ্ধান্তের কথা, তবে কোনও দিনও যদি পারুলের প্রয়োজন হয় তাহলে একজন নারী হিসেবে তিনি পাশে দাঁড়াতে চান! অন্যদিকে শিরীনের মা তাঁর ব্যবসায় আর্থিক ক্ষতি দেখে, ম্যানেজারকে ফোন করে বলেন পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে।

ম্যানেজার বলেন, যন্ত্রপাতি যথেষ্ট পুরনো দিনের এবং ফ্যাক্টরিটাও অনেকগুলি গ্রামের মধ্যে আছে। যদি অতিরিক্ত কাজের চাপে মেশিনগুলো বি’স্ফো’রণ ঘটায়, তবে গ্রামের মানুষদের প্রাণ যাবে। শিরীনের মা বলেন, গ্রামের দু একটা মানুষ মরলে কিছু হবে না, প্রোডাকশন বাড়াতেই হবে যেভাবে হোক। সকাল হতেই এদিকে রায়ান পারুলকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। রাস্তায় পারুলকে রায়ান অনেক প্রশ্ন করে,পারুল মুখে কিছু বলে না।

কিন্তু মনে মনে চায় যেন রায়ান তাঁর প্রশ্নের উত্তর নিজেই খুঁজে নেয়। রায়ান এবার ডিভোর্সের প্রসঙ্গ তুলেই, পারুল জানায় সে যেখানেই থাকুক ডিভোর্স হবেই। এদিকে রুক্মিণী নিজের ঘরকে একবার শেষে ভালোকরে দেখতে থাকে, গোপাল বলে মায়া অত্যন্ত খারাপ জিনিস। ওটা বাড়ালেই বেশি সমস্যা হবে। সবাই ঘুম দিয়ে ওঠার আগেই রুক্মিণীকে নিয়ে রওনা দেয় রায়ান। রুক্মিণী চলে যেতেই গোপালকে সবাই কাপুরুষ বলে দুষতে থাকেন।

Tolly Tales

                 

You cannot copy content of this page