জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মনোজিতের সম্মান ফিরিয়ে দিল পারুল! তূর্য এবার পুলিশের ফাঁদে! রায়ান জড়িয়ে ধরল পারুলকে! অবশেষে কি কাছাকাছি আসছে রায়ান-পারুল?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় লাইভ নিউজ এর অফিসে পৌঁছায় রায়ান আর পারুল। পারুল অনেক করে বোঝাতে থাকে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে, যে মনোজিতের সম্বন্ধে যে খবর তাঁরা রটিয়েছে, সেটাকে ভুল প্রমাণ করে সঠিক তথ্য দিয়ে একটা খবর প্রকাশ করতে যাতে আসল অপরাধী কে সেটা মানুষ জানতে পারে আর মনোজিতের সম্মান ফিরে আসে।

পারুল জানায় তিনি যদি তাঁদের কথা না মানেন তাহলে পারুল ধর্নায়ে বসবে, আর অন্য মিডিয়া চ্যানেল এসে যদি খবর করে তাহলে পারুল জানিয়ে দেবেন এই চ্যানেলে পক্ষপাতিত্ব এবং অমানুষিক চেহারার কথা। অবশেষে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ রাজি হন মনোজিত এর স্বপক্ষে একটি টক শো করতে। পারুল আর রায়ানকেও তিনি থাকতে বলেন এই শো তে। পরের দিন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে পারুল বক্তব্য রাখে কাকাবাবুর নির্দোষ হওয়া নিয়ে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

পারুল বলে, “যে ব্যক্তিটি দিনরাত নিজের ব্যবসা সামলাতে ব্যস্ত, নিত্য জীবনেও সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি আর আজ পর্যন্ত কাউকে খারাপ কিছু বলেননি আর যাই হোক তাঁকে এই দোষ দেওয়া একেবারে যুক্তিহীন।” একজন সোনার দোকানের পুরনো গ্রাহকের ভিডিও দেখানো হয়, যেখানে তিনি মনোজিতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন সেই সময় যদি তিনি ভরসা না করে তিন লক্ষ টাকার গয়না না ধার দিতেন তাহলে তাঁর মেয়ের বিয়ে ভেঙে যেতে পারত।

এবার পুলিশের মুখ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপে শোনানো হয় অপরাধীর আসল পরিচয় ও বর্ণনা। মনোজিত এই দোষ করেননি বরং তাকে ফাঁসানো হয়েছে, আর এই নিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে বলে। এই বিশেষ অনুষ্ঠান থেকে মনোজিতের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে দেখে রায়ান আনন্দে পারুলকে জড়িয়ে ধরে। এরই মধ্যে খবর পৌঁছে যায় তূর্যর কাছে। সে মনে মনে হতাশ হয়ে পড়ে আর তাঁর চোখে প্রতিশোধের আগুন আরও বেশি করে জ্বলে ওঠে।

পারুলের উদ্দেশ্য তূর্য মনে মনে বলে যাকে পাওয়ার আশায় সে বসু পরিবারকে ধ্বংস করতে চাইছে সেই কিনা বারবার সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দিচ্ছে। অন্যদিকে পারুলের কাছে পুলিশ স্টেশন দিয়ে ফোন আসে। ফোন পেতেই ছুটে চলে গিয়ে পারুল আর রায়ান জানতে পারে দিল্লি থেকে জ্যাক নামের এক হ্যাকারকে ডেকে পাঠিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। তারই সাহায্যে আসল অপরাধীর ঠিকানা বের করতে তৎপর হন তাঁরা।

ঠিক সেই সময় তূর্য পারুলকে ফোন করে টক শো এর জন্য অভিনন্দন জানাতে থাকে। পারুল থানায় যা কিছু হয়েছে সমস্ত তূর্যকে বলে। পূর্ব এবার সিদ্ধান্ত নেয় ধরা পড়ার আগে সমস্ত ডিভাইস নষ্ট করতে হবে। সেইমত তূর্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে আর পুলিশরাও ধরে ফেলেন তার ঠিকানা। পদক্ষেপ নিতে বেরিয়ে পড়েন তারা, পারুল আর রায়ানো তাদের সঙ্গী হয় এই অপরাধীকে ধরতে। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে নিতে বলে পুলিশ পারুল আর রায়ানকে।

রায়ান জানতে চায় পারুলকে তাঁর গুলি বা দন্দুকে ভয় হয় কিনা। পারুল বলে, “বাঁচতে হলে একসাথেই বাঁচবো আর এবার মরতে হলে আগেই মড়ব।” রায়ান আর পারুলকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সেই ব্যক্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়ে, আর খুব কাছাকাছি চলে যায় তাঁরা সেই অপরাধীর। তূর্য কি এবার সত্যিই ধরা পড়ে যাবে? রায়ান আর পারুলের সম্পর্কে সমীকরণ কি পাল্টাচ্ছে? আগামী পর্বে কি হতে চলেছে জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।

Piya Chanda