জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পুলিশ হ্যাকারের সাহায্যে বের করে ফেলে ওই ব্যক্তির ঠিকানা, এই খবরটা পারুলের মুখ থেকে শুনে তূর্য ভয়ে পেয়ে যায়। মনে মনে তূর্য ভাবে যে “এই ঠিকানা পারুলের চেনা, আমি যদি পালিয়েও যাই তাহলেও পারুল এখানে এলেই বুঝে যাবে আমিই সেই ব্যক্তি, আর সেটা হতে দেওয়া যাবে না।”
এরপর তূর্য ঠিক করে ওই ফোনটা নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবে, যাতে পুলিশ কোনও ভাবেই তাঁর বাড়িতে না পৌঁছায়। বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায় তূর্য। অন্যদিকে পারুল আর রায়ানকে সঙ্গে করে পুলিশ ওই ফোন আর ব্যক্তির খোঁজে বেরিয়ে পরে। একটা সময় খুব কাছাকাছি চলে আসে পুলিশ আর তূর্য, কিন্তু তূর্যর সামনে হাজির হয় তাঁর অতীত। সমীরণ লোক নিয়ে হাজির হয়ে তূর্যকে মারতে।

তূর্য পালানোর চেষ্টা করলে, তাঁকে সমীরণের লোকেরা মারতে শুরু করে। সমীরণ জানায় যে তূর্য তাঁর মামাকে হুমকি দিয়ে এসেছে আর পারুলের দিকে হাত বাড়িয়েছে, এটাই তাঁর শাস্তি। এতক্ষণ তূর্য সব সহ্য করলেও, এবার পারুলের কথা শুনে রেগে যায় আর বন্দুক বের করে তাক করে সমীরণ এর দিকে। হাতে থাকা দাঁ দিয়ে সমীরণ তূর্যর হতে আঘাত করে। আর তূর্য মাটিতে পড়ে যায় সেই সঙ্গে সেই ফোনটাও।
সমীরণ পা দিয়ে ফোনটাকে প্রায় ভেঙে ফেলে তূর্যকে রেখে চলে যায়। পুলিশ আসছে মনে পড়ে তূর্যর, তাই সে কোনও রকমে উঠে ফোনটা খানিকটা দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ঠিক সেই মুহূর্তেই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। তূর্যকে এই অবস্থায় দেখে পারুল কারণ জানতে চাইলে, তূর্য মিথ্যে বলে যে ওই ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে তাঁর এই অবস্থা। পুলিশ জানতে চায় ওই ব্যক্তিকে সে চিনলো কিভাবে?
তূর্য বলে পারুলের বলা কথা অনুযায়ী লোকটি একটা কালো মুখোশ পড়েছিল, তাঁকে কয়েকটা প্রশ্ন করতেই সে পালানোর চেষ্টা করে আর ধরতে গেলে তাঁকে আঘাত করে পালায়। এরপর অজ্ঞান হয়ে যায় তূর্য, পুলিশ তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে। জ্ঞান ফিরলে পারুল আর রায়ান জানতে চায় পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে হবে, তূর্য বলে সে অনাথ তার কেউ নেই। পারুল বলে যে বন্ধুর বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে মোটেই একা নয়, তাঁর সাথে এই বন্ধুরা আছে।
আরও পড়ুনঃ ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! হাইকোর্টে মামলা করেও ছাড়া পেল না রুদ্র! শিবু গুন্ডাকে ফুলকির আরং ধোলাই! অবশেষে ফুলকি খুঁজে পেল নিজের বাবাকে!
এরপর পুলিশ এসে জানায় ঘটনাস্থল থেকে ফোনটি উদ্ধার হলেও অবস্থা এতই খারাপ যে কোনও তথ্য বের করা প্রায় অসম্ভব। তূর্যকে দেখে ইউনিভার্সিটিতে ফিরলে, রায়ান আর পারুল জানতে পারে সেখানে রবীন্দ্রজয়ন্তীর আয়োজন হচ্ছে আর নাটক পরিচালনার ভার পড়েছে রায়ানের উপর। রায়ান বলে, “বসু বাড়ির কেউ নিজের স্বপ্ন কোনদিনও বেছে নেয়নি আমিও পারবো না।” পারুল আশ্বাস দেয়, তাঁর স্বপ্ন যদি থিয়েটার করাই হয় তাহলে এই স্বপ্ন পূরণের পথে সব বাধা পার করতে সাহায্য করবে এই পারুল।