জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুল হোটেলে ফিরে আসলেও মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখার কথা কিছুতেই ভুলতে পারছে না। বারবার তার মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে যে, কেন তার মা এমন করে পালিয়ে যাচ্ছেন? মেয়েকে কি তবে তিনি চিনতে পারেননি এখনও? এরপর দেখা যায়, বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরেও পারুল-রায়ানের ঠিক মতো খোঁজ না পেয়ে, বসু বাড়ির সবাই দুশ্চিন্তা করছে।
এমন সময় পারুল ফোন করে। সবাই তার মায়ের খবর জানতে চাইলে, সে আবারও কান্নায় ভেঙে পড়ে সবটা বলে। দূরে দাঁড়িয়ে রায়ানের মা সব শুনে নেন। পারুল ফোনটা রাখতেই তিনি শিরীনকে ফোন করে জানান। রায়ানের মা বলেন, গতকাল পারুল তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছে। শিরীনের মা এই কথাটা শুনে উন্মাদের মতো আচরণ শুরু করেন। তিনি কিছুতেই মানতে পারেন না, এতকিছু করার পরেও পারুলকে আটকাতে পারলেন না!

এদিকে, পারুল সর্বক্ষণ কেঁদেই চলেছে। না বাবা না রায়ান, কেউই তাঁকে আর সামলাতে পারছে না। ওদিকে, আম্মা অর্থাৎ পারুলের মা-ও মনখারাপ করে বসে আছেন। এতদিন বাদে মেয়েকে কাছে পেয়েও তিনি এক মুহূর্তের জন্য কথা বলতে পারলেন না। আম্মাকে তার দলের লোকেরা পারুলের সঙ্গে দেখা করতে সাহায্য করার আশ্বাস দেয়। পরদিন সকালে পারুলকে রায়ান সান্তনা দিচ্ছে, এমন সময় দরজার বাইরে কেউ একটা আসে।
দরজা খুলতেই তার দেখে, জলখাবার দিতে হোটেলের লোক এসেছে। এদিকে পারুলরা কথা বলছে, ওদিকে ওই লোকটি খাবার রেখে যাবার সময় একটা চিরকুট ফেলে দিয়ে যায় নিচে। এই লোকটি আসলে আম্মার দলের লোক। পারুল ওই চিরকুটটা খুলে দেখতে অবাক হয়ে যায়, তার মা তাকে রাত বারোটায় ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে ডেকেছে। প্রথমে রায়ানের বিশ্বাস হয় না এটা তার মায়ের পাঠানো।
আরও পড়ুনঃ আবাসনে হে’নস্থার মুখে শ্রীলেখা মিত্র! নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার হুমকি, আইনি পদক্ষেপের পথে অভিনেত্রী
কিন্তু পারুল প্রমাণ করে দেয় যে কাগজে এটা লেখা, সেটা শুধুমাত্র ডাক্তারদের কাছেই থাকে। আপ্লুত হয় এরপর পারুল রায়ানকে জড়িয়ে ধরে। এমনকি বাড়িতে ফোন করে সবটা জানিয়ে দেয়। রায়ানের মা খবরটা পেতেই শিরীনকে দিয়ে দেয়। এবার শিরীনের মা ঠিক করেন, এমন কিছু করবেন, এই জন্মে পারুল তার মাকে পাবে না! পারুল রাতে মন্দিরে যেতেই, আম্মা ছুটে মেয়ের দিকে আসতেই পুলিশ আটক করে তাকে!

