প্রতিটি মেয়ের কাছে মাতৃত্বে স্বাদ তাকে পরিপূর্ণতার তৃপ্তি দেয়। সেলিব্রেটি হোক বা সাধারণ বাড়ির মহিলা প্রত্যেকের কাছে এই প্রাপ্তি ঐশ্বরিক উপহার বা আশীর্বাদ হিসেবেই মনে করা হয়। এমন অনেক কাহিনী শোনা যায় যেখানে বছরের পর বছর চেষ্টা করেও মা হতে পারেননি কেউ আবার কেউ মা হয়ে সন্তানকে ধরে রাখতে পারেননি কিংবা বাধ্য হয়েছেন সন্তানকে ছেড়ে দিতে।
এই বাঙালি নায়িকা দীর্ঘ ছয় বছরের চেষ্টার পর অবশেষে সেই সুখ পেতে চলেছেন। যদিও তিনি নামে মাত্র বাঙালি, কর্ম এবং বাসস্থান দুটোই প্রবাসে। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে গোনা কাজ করেছেন আর বলিউডে করেছেন ভুরিভুরি কাজ। সবক্ষেত্রেই জনপ্রিয় বিপাশা বসু।
View this post on Instagram
সম্প্রতি নায়িকার ভক্তরা জানতে পেরেছেন যে তিনি মা হতে চলেছেন। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আইডিটির মতো নজর রেখে চলেছে অনুরাগীরা। প্রেগনেন্ট বিপাশা বসুকে দেখতে কেমন লাগে বা মাতৃত্বকালীন ফ্যাশন এইগুলোর বাইরেও একেবারে অন্যরকম এক বিপাশা বসু ধরা দিলেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সম্প্রতি ধুমধাম করে আয়োজিত হলো নায়িকার সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠান। বাঙালি আদব কায়দায় এই রীতি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ এক মা হতে চলার নারীর ক্ষেত্রে। মূলত, বড়দের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা পাওয়াই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে নতুন অধ্যায় প্রবেশের পথে এক নারীকে সেই সমস্ত তৃপ্তি দেওয়া, খুশি রাখাই উদ্দেশ্য পরিবারের।
View this post on Instagram
নায়িকা বর্তমানে জনপ্রিয় অবাঙালি অভিনেতা করণ সিং গ্রোভারকে বিয়ে করে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হয়েছেন। সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেছেন দুজনে সংসার বেঁধে। এবার সেই সংসারে আসতে চলেছে নতুন সদস্য। তার আগে হবু মাকে বুক ভরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিলেন পরিবার।
সম্প্রতি নায়িকা কিছু ছবি এবং একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা গেল বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠরা নায়িকাকে আশীর্বাদ করলেন সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। গোলাপি রঙের শাড়ি এবং তার সঙ্গে মানানসই সাজগোজে হাজির হয়েছিলেন বিপাশা। এক প্লেট খাবার সাজিয়ে ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করা হলো নায়িকাকে। উপস্থিত ছিলেন নায়িকার মাও। অভিনেত্রী নিজের সেই ছবিগুলো শেয়ার করেছেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। ক্যাপশনে লিখেছেন “আমার সাধ”।
View this post on Instagram
ছবিগুলি দেখে ভক্তদের ভালোবাসার বন্যা বয়ে গিয়েছে কমেন্ট বক্সে। অনেকেই প্রশংসা করেছেন নায়িকার বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি নিষ্ঠাকে। এতদিন ধরে তিনি বাইরে রয়েছেন তবুও বাঙালি আদব কায়দা ভুলে যাননি এটাই ভালো লেগেছে সকলের।