মন খারাপের ওষুধ গান, এমন অনেকেই বলে থাকে। এমনটা যদি সত্যি হয় তাহলে প্রতিটি গায়ক বা গায়িকা এক একজন মন খারাপের ডাক্তার বা জাদুকর। বাংলা হোক হিন্দি হোক বা যে কোনো ভাষায় যেকোনো সুন্দর গান মনকে শান্তি দেয় এমনটা আমরা সবাই বিশ্বাস করি। তাল ছন্দ সুর সবকিছু মিলিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপিত করা গান সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
গায়ক জুবিন গর্গ তেমনই এক প্রসিদ্ধ গায়ক। বাংলা, অসমীয়া থেকে বলিউডের জন্য হিন্দি ছবিতেও একাধিক প্লে-ব্যাক করে ৯০ এর দশকের ছেলে মেয়ের জন্য আদর্শ গায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, যন্ত্রণা সমস্ত আবেগ গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন জুবিন। এখন সেভাবে আর গান না গাইলেও যে কৃতিত্ব তিনি রেখে গেছেন, তাই যথেষ্ট ভক্তদের কাছে তাঁকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য।
এখন সেভাবে ছবির জন্য গান না গাইলেও লাইভ কনসার্ট করে থাকেন জুবিন। সম্প্রতি এমনই একটি লাইভ শোয়ের পারফর্মেন্সের ভিডিও ভাইরাল যেটা দেখে চমকে উঠেছে দর্শকরা, চরম হতাশায় ডুবে গেছে ভক্তরা। গানের গলা একেবারে ভাঙা, ঠিক মত দাঁড়াতে বা চলতেও পারছেন না জুবিন। সেই ভিডিও দেখে প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন এ কী হাল এই তারকার?
একসময় গায়কের গলায় এই গান ছিল সেই সময়কার অন্যতম সেরা একটি হিন্দি গান। “ইয়া আলি” গানটিকে তখন জুবিনের গাওয়া অন্যতম সেরা গান হিসেবে ধরা হতো ভক্তদের মাঝে। তবে এই ভিডিওতে সেই পুরনো গানটাই ঠিক মতো গাইতে পারলেন না তিনি এবং তার জন্য প্রবল কটাক্ষের শিকার এই গায়ক। গায়কের এই পরিস্থিতি দেখে চরম কষ্ট পেয়েছে ভক্তরা।
গান গাইতে গাইতে হঠাৎ করেই তাল কেটে যাচ্ছে, সুর ভেঙে যাচ্ছে, গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। এই অবস্থা দেখে একদল বলছে তিনি নেশা করে উঠেছেন গান গাইতে। অনেকে তার সমর্থনে আবার লিখেছে, হ্যাঁ তিনি প্রচন্ড নেশা করেন একবার নেশা করে গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেছিলেন। তবে অন্য দল বিশেষ করে জুবিনের ভক্তরা বলছে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ সেটা স্পষ্ট। তবুও কেন ডাকা হলো মঞ্চে?
প্রসঙ্গত সম্প্রতি জুবিন প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে হোটেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছিলেন। মাথায় বড়সড় চোট পান। সঙ্গে সঙ্গে যদিও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গায়ককে। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে চিকিৎসা। গুয়াহাটিতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। তবে এই ভিডিও দেখে দর্শকদের একটাই প্রশ্ন সেদিন আসলে কী হয়েছিল? সত্যিই কি নে’শাগ্রস্ত ছিলেন জুবিন নাকি অসুস্থ?