জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বলিউডে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল!” “সকালে কফি আর রাতে ম’দের গ্লাস তুলে চিয়ার্স বলতে হয়”— বলিউডের কোন প্রোডিউসারের অ’শ্লী’ল প্রস্তাবে কনীনিকা মেরেছিলেন এক চ’ড়?

ছোট পর্দা আর বড় পর্দা মিলিয়ে বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। সেটা হতে পারে ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood) অন্ধকার দিক নিয়ে অথবা বাস্তব সমাজের ধ্যান-ধারণা, বরাবর স্পষ্ট কথা বলার জন্যই প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ‘জি বাংলার রান্নাঘর’ (Zee Bangla Rannaghor) এর সঞ্চালিকা। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে অভিনেত্রী ‘কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়’কে (Koneenica Banerjee) নিয়ে। বড় পর্দায় যেমন সাবলীল অভিনয় করেন, ছোট পর্দাতেও কিন্তু কম যান না। তবে কোনও অন্যায়ের সঙ্গে কখনোই আপোষ করেননি তিনি। এমনি চড়ও মেরেছেন এক প্রোডিউসারকে!

সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে এসে তিনি ভাগ করে নিয়েছেন চড় মারার পেছনের সেই গল্প। তিনি বলেন, একটা সময়ে আর পাঁচটা অভিনেত্রীদের মতো তাঁরও ইচ্ছে ছিল বলিউডে অভিনয় করার। ভেবেছিলেন এখানের থেকে বুঝি বোম্বেতে কাজের সুযোগ অনেক বেশি। সেই কারণেই সদ্য অভিনয় জগতে পরিচিতি পাওয়া কনীনিকা পা রাখেন বাণিজ্য নগরীতে। এদিন অভিনেত্রী বলেন, সেটাই নাকি ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল! আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে অবশ্য শিক্ষাও নিয়েছেন তিনি।

অভিনেত্রী জানালেন,”এখান থেকে অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে দেখলাম, নদী থেকে সমুদ্রে এসে পড়েছি! আরও খারাপ অবস্থা ওই ইন্ডাস্ট্রির।” তিনি জানান, এখনের কনীনিকা হয়তো মানিয়ে নিতে পারবে কিন্তু সেই বয়সের মেয়েটার জন্য একদম অস্বস্তিকর ছিল। তিনি বলেন,”কোনও পরিচিত লোক ছিল না। কাজের জন্য পরিচিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি, একদিন এক বাঙালি ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় যিনি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত, বলা ভালো একজন প্রোডিউসার।”

কনীনিকা বলেন, “ওই ইন্ডাস্ট্রির কালচার, সকালে একসঙ্গে কফি আর রাতে মদের গ্লাস তুলে চিয়ার্স বলতে হয়। তবেই কাজ পাওয়া যায়। আর ওই ব্যক্তির থেকেই সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে, তিনিও প্রথমে আমায় কফিতে ইনভাইট করেন। তারপর কথা হতে থাকে, একদিন ডিনারে ডাকে। আমার প্রথমটা খটকা লাগলেও আমি সেখানে যাই, খাওয়া দাওয়া হওয়ার পর ড্রিংকস এর অফার করে। আমি রাজি হই ওয়াইন খেতে, তারপর শুরু হয় তাঁর আসল খেলা।

সে ভাবতে থাকে যে আমি হয়তো নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ব আর সেই অবস্থায় আমার সুযোগ নেবে। কিন্তু হলো উল্টো। আমি পানিও খেলে আরও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠি, সাহসী হয়ে যাই। তাই সে চুমু খেতে এগিয়ে এলে, কষিয়ে একটা চড় মেরে দেই।” তিনি এদিন বললেন,”এইখানেই ভালো আছি যা আছি, অন্য কোথাও নিজের থেকে আর যাওয়ার ইচ্ছে নেই। তবে সুযোগ আসলে অবশ্যই যাবো।” অতীতের ঘটে যাওয়া এমন ঘটনাকে তুলে ধরার সাহস অনেকেরই থাকে না, কিন্তু কনীনিকা হয়তো এই জন্যই ব্যতিক্রম।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page