‘আপকি নজরো নে সামঝা’, ‘ধীরে ধীরে চাল চাঁদ গগন মে’ থেকে শুরু করে একের পর এক হিট যার ঝুলিতে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঠিক ততটাই অন্ধকারময়। অভিনেত্রী মালা সিনহা। একের পর হিটে কাজ করে কাঁপাচ্ছেন বলিউড।
দর্শকরা তাঁর নাচ ও অভিনয়ে মুগ্ধ। তিনি সিনেমায় আছেন মানেই হল হাউসফুল। কিন্তু বলিপাড়ায় কান পাতলেই তাঁর সম্পর্কে উঠে আসত নানা কথা।
শুধু কথা নয়, রীতিমতো বদনাম। অথচ ৬০ থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের তালিকাতে প্রথম দিকেই তাঁর নাম ছিল। তবে তৎকালীন সহকর্মীরা তাঁকে ঠিক ততটাই কিপটে বলে পরিচয় দিতেন।
তাঁর কৃপণতার জন্যই হোক বা অন্য রহস্য লুকোতে, নিজের মুখেই অনেক বড় কথা বলেছিলেন। ১৯৭৮ সাল নাগাদ করে তিনি তাঁর সাফল্যের চূড়ায়। কিন্তু সেইসময়ই তাঁর জীবনে চূড়ান্ত ধ্বস নেমে আসে।
বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। আর তদন্ত করা মাত্রই বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। এখনতো বটেই, তখনকার দিনে ১২ লাখ টাকার মূল্য আরও অনেক বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে এত টাকা নিয়ে। তবে সত্যি মিথ্যে সে কারোর জানা নেই, কিন্তু এমন কথা তিনি মিডিয়া ও আদালতের সামনে জানান যা নিয়ে আজও চর্চা হয়। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, বে’শ্যা’বৃত্তি করে এই টাকা তিনি পেয়েছেন। এই ঘটনার পরই এক নিমেষে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায় দাপুটে অভিনেত্রী মালা সিনহার। পরবর্তীকালে নিজেও খুব ভেঙে পড়েছিলেন।