জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Ghost of Bollywood Actor: “ভুতুড়ে মুখ”! দরকার হতো না মেকাপের! অতিকায় চেহারায় আর ভয়ঙ্কর মুখশ্রী নিয়েই কাঁপিয়েছেন বলিউড থেকে ছোটদের হৃদয়

র‍্যামসে ব্রাদার্স বলিউডকে এক সময় যা দিয়ে গিয়েছেন যা সেই সময় অনেক বেশি পাতি মনে হলেও আজ সেগুলো “কাল্ট” হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তখন ছিল একদম পাতি হরর জনরা। আর এই আজকের “কাল্ট” এর জন্য বলিউড পেয়েছিল এক “ভয়ার্ত মুখ”। আর তার এক নিজস্ব গল্প রয়েছে।

সেই গল্পের দিকে ফিরে তাকালে আলাদা আরও একটি সিনেমা তৈরি হয়ে যেতে পারে। একটি ছেলে ছিল যার সিনেমায় নায়ক হওয়ার খুব সখ ছিল। কিন্তু পরিবারের চাপে আরও নানা পরিস্থিতিতে তার আর সিনেমার জগতে পা রাখা হয়নি। তবে কথায় আছে না, কার কপালে কী লেখা রয়েছে সেটা সে নিজেও জানে না!

যেমনটা জানতেন না ওই ছেলেটা নিজেও। পরিবারের চাপে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। তারপর দিব্যি একটি চাকরিও বাগিয়ে নেন। কিন্তু নিজের মনের খুশি তো অভিনয়েই ছিল তাঁর। হয়তো এই কারণেই শরীরটা খারাপ করে ফেলেছিলেন। ছেলেটির নাম অজয় আগরওয়াল। যদিও বাবা নাম রেখেছিলেন অনিরুদ্ধ।

তাও আবার এমনি এমনিই শরীর খারাপ নয়। পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার হয়েছিল তাঁর। সেই চিকিৎসা করার স্বার্থে তিনি মুম্বইয়ে যান। আর তখনই র‍্যামসে ব্রাদার্স সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ততক্ষণে তাঁর সিনেমা “পুরানা মন্দির” শ্যুট পুরো কমপ্লিট। শুধু হরর শ্যুট বাকি। আর এর জন্য খুঁজছিলেন এর প্রযোজ্য মুখ।

আর এই খবর পাওয়া মাত্র অডিশন দিতে যান। আর তাঁকে দেখা মাত্রই লাফিয়ে ওঠেন, “ভূতূড়ে মুখ”। আর ব্যস তারপর একের পর এক সিনেমা। যেগুলো সবকটা কল্ট হয়ে যায়। ‘পুরানা মন্দির’ (১৯৮৪), ‘ভিরানা’র (১৯৮৮)। আবার শুধু হরর নয়, “কসম পয়দা করনেওয়ালি”, “শারাবি”, “মশাল” আরও কত কী! স্ক্রিন ভাগ করে নিয়েছেন অমিতাভ, মিঠুন, অনিল কাপুরদের মতো স্টারদের সঙ্গে।

আজ এই “হরর ম্যান”- এর বয়স প্রায় ৭৩ বছর। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বোঝেন হয়তো অভিনয়টা তাঁর সত্যিই করা হয় ওঠেনি। বরং তাঁর মুখই সব কাজ করে দিয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা বলেছিলেন। তবে তাতে কী! রামসে ব্রাদার্স আর এই হরর ম্যানের জুটি তো ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি নাম হয়ে গিয়েছে, তাতে আর কোনও ব্যখ্যা লাগে না।

Mouli Ghosh