জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কে বলে ভালোবাসা শুধু রক্তের সম্পর্ক চেনে? সন্তানেরা যাদের ভুলে যায়, সেই রাস্তায় পড়ে থাকা মা-বাবাদের দত্তক নিতে এগিয়ে এলেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং তার জীবনসঙ্গিনী! শেষ বয়সে যাঁদের থাকে না কেউ, তাঁদের আপন বানিয়েই নজির গড়লেন অভিনেতা-অভিনেত্রী!

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন শারীরিক সমস্যা বাড়ে, তেমনই বাড়ে নিঃসঙ্গতাও। জীবনের এই শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে অনেকেই আর পরিবার বা সন্তানদের কাছে থাকার সৌভাগ্য পান না। কেউ কেউ বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই পান, আবার কেউ থাকেন সমাজের চোখের আড়ালে একা, অবহেলিত অবস্থায়। অথচ এই মানুষগুলোরও (Elderly People) প্রয়োজন হয় ভালোবাসা, যত্ন, নিরাপত্তা। আজকের সমাজে যেখানে বাবা-মাকেও বোঝা বলে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মানুষ খুব কম।

শিশুদের দত্তক নেওয়ার বহু ঘটনা আমরা সবাই প্রায়শই খবরে দেখতে পাই, অনেকেই আবার গ্রামীণ লোকেদের উন্নয়নের জন্য এগিয়ে এসে গোটা গ্রামের দায়িত্ব নেন। কিন্তু বৃদ্ধদের নিয়ে এমন উদ্যোগ খুব কমই চোখে পড়ে। কেউ হয়তো কিছু চাল-ডাল বা পুরনো জামাকাপড় দান করেন, কেউ একটু সময় দেন, তবু দীর্ঘস্থায়ী যত্ন নেওয়ার উদাহরণ খুব কম। সেই দিক থেকে এক জনপ্রিয় অভিনেতার জীবনসঙ্গিনীর পদক্ষেপ নজর কেড়েছে সবার!

সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি দেশের এক বিশাল সমাজসেবামূলক প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন, যার মূল উদ্দেশ্য হল সারা ভারতের বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমকে দত্তক নেওয়া এবং সেখানে থাকা প্রবীণদের এক সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা। দত্তক নেওয়ার অর্থ শুধুমাত্র নামেই নয়, বরং প্রতিটি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দার খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও থাকবে বিশেষ নজর। বিশেষ দিনগুলোর উদযাপন থেকে শুরু করে মন ভালো রাখার উদ্যোগও থাকবে সেই তালিকায়।

এই ব্যক্তিত্বটি হলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা ‘রামচরণ’-এর স্ত্রী ‘উপাসনা কোনিদেলা’। তিনি ‘বিলিয়ন হার্টস বিটিং’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১৫০টিরও বেশি বৃদ্ধাশ্রম দত্তক নিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, এই বয়সে মানুষের একমাত্র চাহিদা একটু যত্ন, ভালো খাওয়া, আর একটু সম্মান। তাঁর উদ্যোগ সেই দিকেই এগিয়ে যেতে চাইছে। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রগুলো কোনও দাতব্য প্রকল্প নয়, বরং ছিন্নমূল অভিভাবকদের জন্য নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ ঠিকানা।

খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই, ইতিমধ্যেই রামচরণ-এর সহ অভিনেতা সহ সামাজিক মাধ্যমে একাধিক মানুষ প্রশংসা করেছেন। উপাসনার এই উদ্যোগ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন আনতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। যেখানে বয়স হলে পরিবার পিছিয়ে আসে, সেখানে এক অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এসেছেন তিনি। এই ধরনের উদাহরণ সমাজকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়, এবং ভবিষ্যতের পথ দেখায় কেমন হওয়া উচিত আমাদের দায়িত্ববোধ।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page