ডিসেম্বর মানেই টলিউডের বক্স অফিসে বাড়তি চাপ, উৎসবের মরসুমে একাধিক বড় ছবি মুক্তি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের নজর থাকে প্রেক্ষাগৃহমুখী। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। বড়দিনের সময় একসঙ্গে একাধিক তারকাখচিত ছবি মুক্তি পাওয়ায় আলোচনা, তুলনা আর বিতর্ক—সব মিলিয়ে টলিউড যেন কার্যত রণক্ষেত্র।
২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে টলিউড মেগাস্টার দেবের বহু প্রতীক্ষিত ছবি প্রজাপতি ২। তবে একই সময়ে প্রেক্ষাগৃহে এসেছে শুভশ্রী গাঙ্গুলীর লহ গৌরাঙ্গের নাম রে এবং কোয়েল মল্লিক অভিনীত মিতিন একটি খুনের সন্ধানে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি বক্স অফিস লড়াই। কোন ছবি কতটা দর্শক টানছে, কোন ছবির শো বাড়ছে—এই সব নিয়েই চলছে চর্চা।
এই প্রতিযোগিতার মাঝেও প্রজাপতি ২ আলাদা করে নজর কেড়েছে তার বিষয়বস্তুর জন্য। দেব আগেই জানিয়েছিলেন, এটি নিছক কোনও বাণিজ্যিক ছবি নয়, বরং একটি পারিবারিক গল্প। সম্পর্কের টানাপোড়েন, বাবা-ছেলের অনুভূতি আর জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তকে গুরুত্ব দিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবির চিত্রনাট্য। দর্শকের একাংশও ছবির আবেগঘন দিক নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলতে শুরু করেছেন।
এই আবেগের জায়গাটাই আরও স্পষ্ট হল দেবের সাম্প্রতিক মন্তব্যে। অভিনেতা বলেন, “বাবা মারা ভালো থাকার জন্য বাঁচেন না, ভালো রাখার জন্য বাঁচেন।” দেবের কথায়, তাঁর জীবনের সাফল্যের পেছনে বাবা-মার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি মনে করেন, তাঁর বাবা-মা নিশ্চয়ই কোনও বড় পুণ্য করেছিলেন বলেই আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছেন।
আরও পড়ুনঃ “মিশন দুর্গা দুগ্গা, ডিটেকটিভ চারুলতা, অর্চির গ্যালারি”— একের পর এক প্রোজেক্টে সাবলীল অভিনয়, সাফল্যে ভরপুর ‘কুসুম’-এর দেবলীনা অর্থাৎ পামেলা কাঞ্জিলাল! “এতকিছুর পরেও কেন নেগেটিভ চরিত্র?”-প্রশ্ন দর্শকমহলে!
এই উপলব্ধিই প্রজাপতি ২-কে অন্য মাত্রা দিয়েছে। শুধুমাত্র বক্স অফিসের হিসাব নয়, দেবের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা ও কৃতজ্ঞতার ছাপ পড়েছে ছবির ভাবনায়। আর সেই কারণেই হয়তো তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও এই ছবি দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে নিচ্ছে—নীরবে, কিন্তু গভীরভাবে।
