বাংলা চ্যানেলগুলিতে ধারাবাহিকের যে প্রতিযোগিতা তাতে টিকে থাকার জন্য সিরিয়ালের গল্পে একের পর এক নতুন ধামাকা আনা হয়। এই মুহূর্তে সব করে ধারাবাহিকেই প্রায় দুর্দান্ত পর্ব চলছে। এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায়।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য গল্পে নতুন নতুন মোড় আসতে দেখা যায় প্রায় অনেক সময়েই। এই মুহূর্তে সেরার সেরা হয়ে উঠেছে মিঠাই। কিন্তু এবার ধুলোকণা কিছু কম যাচ্ছে না। ধারাবাহিক একের পর এক টুইস্ট। আর তাই এর জনপ্রিয়তা এই মুহূর্তে তুঙ্গে।
যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানে যে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তারপর বিয়ে হয়েছে লালন আর ফুলঝুরির। কিন্তু চড়ুইয়ের মা একেবারেই খুশি নয় এতে। কারণ তার মেয়ে ভালোবাসে লালনকে।
তাই লালন আর ফুলঝুরির প্রেম যাতে টিকতে না পারে তার জন্য একটা বড়সড় ষড়যন্ত্র রচে ফেলল সে। সম্প্রতি হানিমুনে গিয়েছিল এই জুটি। সমুদ্রে দুজন একসঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর স্বপ্ন দেখেছিল।
তবে এবার একটা বড় ধাক্কা এলো। সম্প্রতি আগামী পর্বের একটা নতুন ঝলক সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগেও একটা ঝলক প্রকাশ পেয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছিল হঠাৎ করেই ঢেউয়ের মাঝে হারিয়ে গেল লালন। তারপর পাগলের মত অবস্থা হয়েছিল ফুলঝুরির।
এবার তার থেকেও খারাপ খবর এলো। যে ঝলক সামনে এসেছে তাতে দেখা গেল এক পুলিশ অফিসার ফুলঝুরিকে বলে যে সমুদ্র থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সমুদ্র সৈকত থেকে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রচুর পাথর থাকায় মুখটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এখন অবধি দেহ সনাক্তকরণ করা যায়নি। এদিকে পুলিশ অফিসার এটাও বলে যে ছবিটা পাঠানো হয়েছিল তাদেরকে সেই ছবিতে জামা কাপড় যে ছিল তার সঙ্গে সেই মৃতদেহের জামা কাপড়ের মিল পাওয়া গেছে।
এমনটা শুনেই পাগলের মত কাঁদতে শুরু করে ফুলঝুরি। অন্যান্য সদস্যদের একই অবস্থা। সে সময় পুলিশ জানায় দেহ সনাক্তকরণ করার জন্য কাউকে একজনকে যেতে হবে থানায়। রীতিমতো ভেঙে পড়েছে পরিবারের সবাই।
সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছে দর্শকরা। তাদের মনে একটা চিন্তা দেখা দিয়েছে যে তাহলে কি লালন মারা যাবে? কিছুদিন আগেই খড়কুটো ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল মুখ্য নায়িকা গুনগুনকে মেরে ফেলা হলো। আর এবার সৈকতে নিখোঁজ হয়ে দেহ পাওয়া গেল। দর্শকরা এর পাশাপাশি রেগেও গিয়েছে কারণ তাদের বক্তব্য লীনা গাঙ্গুলী এবার লালনকে মেরে ফেলতে চাইছে। ফলে এই মুহূর্তে একটাই প্রশ্ন তাহলে কি শেষ হয়ে যাচ্ছে ধুলোকণা?