ধারাবাহিকের ( Television ) রূপোলি পর্দার জগতে যারা কাজ করেন তাদের দেখে আমরা ভাবি তাদের জীবনে বোধহয় কখনও কোন কষ্ট আসেনি। কারণ সব সময় মেকআপ করে তারা হাসেন আমাদের সামনে, আবার যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠান বা সাক্ষাৎকারেও তাদের ঠোঁটের কোনায় লেগে থাকে হাসি। কিন্তু এই সমস্ত মানুষগুলো অনেক লড়াই করে তারকা হয়ে ওঠেন, একজন মানুষের তারকা হয়ে ওঠার পেছনের লড়াইগুলো ( Struggle ) অনেক সময় আমরা দেখি না।
ঠিক যেমন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। রানীমার ছোট বয়স, মধ্য বয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সে ভূমিকাতেও ছোট্ট দিতিপ্রিয়ার অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শককে। কিন্তু অনেকেই জানেন না অভিনেত্রীর বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে সংসারের হাল ধরতে টেলিভিশনের পথে নামতে হয়েছিল তাকে।
ছোট বয়স থেকেই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি পড়াশোনাও করে গিয়েছেন তিনি। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া রায় বলেন, ‘বাবার শরীর খারাপটা হয় ঠিক আমার ধারাবাহিকের কাজ শুরু করার আগে। নবম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমি। বাবা কিন্তু তখন প্রায় সুস্থতার পথে। আমার কাছে তখন দুটো পথ ছিল, যদি ছবির দিকে যাই তাহলে ছবি অথবা টেলিভিশন।’
ছবি আর ধারাবাহিকের মধ্যে ধারাবাহিকে কাজ করাটাই সেই মুহূর্তে বেছে নিয়েছিলেন দিতিপ্রিয়া। এর কারণ ধারাবাহিক করলে রোজগারটা নিয়মিত ভাবে হয় ও টাকাপয়সার দিকটা অনেকটাই বেশি থাকে এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন,‘তখন আমি দেখি টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি উপার্জন করতে পারি ছবির তুলনায়।’
বাবার অসুস্থতার জন্য তাকে সেই নবম শ্রেণী থেকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তবে অভিনেত্রীর কথায়,‘
তবে এই বিষয়গুলো কখনও আমার ক্ষেত্রে চাপ বলে মনে হয়নি, এটা আমার কর্তব্য।’ দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘অনেকের বাবা-মা তাকে মাস্টার্স অবধি পড়িয়ে বড় করেন, আমার বাবার শরীর খারাপের ক্ষেত্রে আমাকে নবম শ্রেণী থেকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। ঠিক আছে।’
আরও পড়ুন: জি জমজমাট! নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ছোট পর্দায় ফিরে দর্শকদের চমকে দিতে চলেছেন জি বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক !
তাকে যে কর্তব্য দায়িত্ব মানসিক চাপ নিতে হয়েছে তার থেকেও তার বাবা সুস্থতা তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন,‘ মানসিক চাপের থেকেও বড় কথা হল আমি বাবাকে এখনও বাবা বলে ডাকতে পারছি। তার থেকে বড় কিছু হতে পারে না। তার থেকে বড় আমার আর কিছু চাওয়ার নেই বা পাওয়ার নেই। এটাই যথেষ্ট।’