শুভ্র এবং জুইয়ের বোঝাপড়ার গল্প নিয়েই শুরু ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে তাদের কাছে আসা। তারপরই কিছুদিন গড়াতে না গোড়াতেই ধারাবাহিকে প’রকীয়ার এন্ট্রি। বেণী বৌদিকে নিয়ে শুরু হয় একের পর এল প্লট। যদিও কিছু দর্শক এটাকে শুভ্রর প’রকীয়া বললেও, অনেকেই বলেন এটা শুধুই বেনীর একতরফা টান ছিল শুভ্রের প্রতি।
এমনকি বেণী বৌদি তার গর্ভাবস্তার জন্য দায় করেন শুভ্রকে। যদিও সেই সন্তান আরেক দেওর সাম্য চ্যাটার্জির। এরইমধ্যে দিয়ে বেণী বৌদি দর্শকদের কাছে বেশ চর্চার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। বেনীর চরিত্রে অভিনয় করছেন সন্দীপ্তা ব্যানার্জি। শুভ্র এবং জুঁইয়ের জীবনে যাকে বারবার ঢুকতে দেখা গিয়েছে। যদিও পরবর্তীকালে বেণী ভালো হয়ে যায় ও অভিযুত সময় জেলে যায়। আর তারপরই ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা রটে।
ঠিক যেসময় সকলে ভাবেন ধারাবাহিকটি বন্ধ হয়ে যাবে, তখনই গল্পে আসে নতুন এক ট্যুইস্ট। জুঁই-এর জীবনে আসে এক নয়া ঝড়। আমরা আগেই দেখেছিলাম, জেলে সাম্য এক কয়েদিকে দেখতে পান, যাকে হুবহু শুভ্রর মতো দেখতে। আর তাই সে প্ল্যান করে এবার এর দ্বারাই সে প্রতিশোধ নেবে শুভ্র ও জুঁই-এর সাথে। অর্থাৎ ডবল রোল আসতে চলেছে শুভ্রর। আর ঠিক সেই প্ল্যান মতোই নকল শুভ্র আসে জুঁই-এর সাথে সংসার করতে।
আর ঠিক তারাগেই নিখোঁজ হয়ে যায় শুভ্র। গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে যায়। সকলেই ভেবে নেয়, হয়তো শুভ্র ফিরবে না। তারপরই নকল শুভ্রর এন্টি। আহত অবস্থায় শুভ্রকে দেখে সকলে এটা ভেবে নেয়, শুভ্রের বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে শুভ্র ফিরে আসতে আবার খুশির আমেজ সৃষ্টি হয়। জুঁইও বেশ খুশি হয়। আমরা দেখি, নকল শুভ্র যার ভাষা হিন্দি ছিল সে স্পষ্ট বাংলা বলছে।
যদিও তারপরও ঘটে এক অন্য ট্যুইস্ট। জুঁই সন্দেহ করে যে শুভ্র আগের শুভ্র নেই। জুঁই দেখে, খাবার টেবিলে বসে শুভ্র খাবারের সাথে লংকা খাচ্ছে, এদিকে জুঁই জানে শুভ্র কাঁচা লংকা খেতে পারে না। যা দেখে জুঁই বুঝতে পারে কিছু ভুল হচ্ছে। যদিও শুভ্র সকলকে বলে, তার গাড়ি দুর্ঘটনায় জলে পড়ে যায়, আর সেখান থেকে বেঁচে ফেরে সে। তবে কি সত্যি সাম্যের প্ল্যান সফল হল? সত্যি কি শুভ্র মারা গিয়েছে? কিভাবে এবার সত্যিই উদ্ঘাটন করবে জুঁই? কোন মোড় নিতে চলেছে জুঁই-এর জীবন? দর্শকদের মনে এখন বহু প্রশ্ন।