জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Saregamapa: ‘হিন্দি সারেগামাপা স্ক্রিপ্টেড’! জেতার পরও ধ্বংস হয়ে যায় বাংলার ছেলের ক্যারিয়ার! কোথায় সারেগামাপা চ্যাম্পিয়ন দেবজিত?

যেকোনও শিল্পীর স্বপ্ন হয়, তাঁর শিল্প একদিন সবার কাছে কদর পাবে। তাঁর জন্য সেই শিল্পী নিজের সবটুকু দিয়ে খাটেন। বর্তমানে টিভি ও ডিজিটালের যুগে যেন সবার সামনে আসার সুযোগ আরও বেশি। ভারত জুড়ে চারিদিকে শুরু হচ্ছে অনেক মেগা শো।সেই এক একটি মেগা শো জেতার জন্য প্রত্যেকটি প্রতিযোগীকে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় তা কল্পনাও করা যায় না।

উদ্দেশ্য ওই বিখ্যাত শো এর উইনারের খেতাব জেতা। কিন্তু এত কিছু কিসের জন্য? নিজের স্বপ্নকে আরও একটু বড় করার জন্য আর ওই বড় স্বপ্নের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে সত্যিই কি তাই হয়? একটা বড় রিয়ালিটি শো এর খেতাব কি কাউকে স্টার বানাতে পারে? যদি তাই হতো, তাহলে অরিজিৎ সিং আজ গানের জগতে রাজ করতে পারত? আসলে পর্দার জগতে সাফল্যের কোনও মাপকাঠি নেই।

মানুষ যাকে ভালোবাসে তাঁকে এমনিই ভালোবাসেন। আবার বহু সময় হয়েছে সঠিক প্রচারের অভাবে কিংবা স্বজনপোষণের কারণে বা অন্যান্য কারণে অকালে হারিয়ে যেতে হয়েছে বহু প্রতিভাকে।

অসময়ে নিভে যেতে হয়েছে বহু জেগে ওঠা শিল্পীকে। এরকমই একজন হলেন দেবজিৎ সাহা। বাংলার ছেলে ঘরে জিতে এনেছিল হিন্দি সারেগামাপা- র শিরোপা। কিন্তু তারপর? তারপর আরও একাধিক রিয়ালিটি শো, যেমন মিউজিক কা মহা মোকাবিলা’, ‘জো জিতা উওহি সুপারস্টার’ – এর মতো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

শুধু তাই নয়। বাংলার সারেগামাপা – তে তাঁকে দেখা গিয়েছিল সঞ্চালকের ভূমিকায়। শুধু তাই নয়, ‘সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পস’ – এও সঞ্চালনা করেছিলেন। কিন্তু তারপর? হারিয়ে যেতে থাকেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কিছুতেই শিখরে পৌঁছাতে পারছিলেন না।

ইচ্ছে ছিল বলিউডে প্লে ব্যাক সিঙ্গার হওয়া। ‘তিস মার খান’, ‘সাহেব বিবি গ্যাংস্টার’-এর মতো সিনেমাতে কাজ করলেও বিশেষ পসার জমাতে পারেন না। এমনকী নিজের কিছু অ্যালবামও বার করেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ সাড়া ফেলতে পারেননি।

কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। বরং মাঝে মধ্যেই ডাক পান বহু স্টেজ শো এর জন্য। গানের পাশাপাশি সঞ্চালনার জন্যও বেশ নাম ডাক তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব অ্যাক্টিভ। সেখানে নিজের গান শেয়ার করার পাশাপাশি মেয়ে দানিকাকে তিনি গানে। আস্থা হারাননি শিল্পের ওপর।

Ratna Adhikary