ফুটপাতের খাবার বিক্রেতা নন্দিনী, এই নামটা সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন প্রায় সকলেরই চেনা। কোন কাজই ছোট বা বড় নয়। নন্দিনী, আরো একবার সেই কথা প্রমাণ করে দিলেন। তাই সম্প্রতি তিনি বেশ চর্চাতেও রয়েছেন।
যদিও যেমন চর্চা ও হচ্ছে তেমন অনেকে সমালোচনাও করছেন। কারো কারো মতে নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে, একটু অতিরিক্তই ইংরেজি বলেন নন্দিনী। আবার অনেকের মতে যখন কোন কাজে ছোট বড় নয় তাহলে এত দেখনদারীই বা কিসের?
যদিও সেসব কথাকে কোন পাত্তাই দেন না তিনি। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করা নন্দিনী নিজের বাবাকে সাহায্য করতে ফুটপাতে খাবারের দোকান চালান। সেখানে ভান্ডাল থেকে শুরু করে শাকসবজি মাছ ডিম মাংস সবই পাওয়া যায় সাধ্যের মধ্যে।
তাই নিত্যদিনই ফুড ব্লগারদের তার দোকানে যাতায়াত লেগেই রয়েছে। সব সময় ফুড ব্লগাররা এসে যে ভালো অভিজ্ঞতারই শিকার হয়েছেন তা নয়। মাঝেমধ্যেই বচসার ভিডিও দেখা যায়। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না নন্দিনী। বরং দোকানে ভিরা তো বাড়ছে আদৌ ফুটপাত দখল করে বেশিদিন এই কাজ কি করে চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত।
তবে সম্প্রতি আরো একটা ঘটনা তাকে প্রচারের আলোয় এনে দিয়েছে। তার ফুটপাতের দোকানে খাবার চেকে দেখতে এসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে কিছু খাবার খেয়ে দেখে তিনি জানিয়েছেন যেন বাড়ির খাবারই খাচ্ছেন। শুধু তাই নয় বিধায়কের এলাকায় একটি স্কুলের স্পোর্টস ইভেন্টের জন্য ৩০০ প্লেট মাংস ভাতের অর্ডারও দিয়ে এসেছেন ।