জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Smart Didi Nandini: ‘এবার বায়োপিক আসবে’, দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে নিজের লড়াই এর গল্প শোনাতে গিয়ে, কেঁদে ফেলায় চরম ট্রোলের মুখে স্মার্ট দিদি, নন্দিনী

জি বাংলার পর্দায় একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো হলেও ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। যেখানে সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা এখানে প্রতিযোগী হয়ে আসেন এবং নিজেদের নানা রকম গল্প করেন। সমাজের এমন বহু মহিলা এখানে আসেন যারা লড়াই করে জীবনে বেঁচে রয়েছেন তারা এসে তাদের জীবনের লড়াইয়ের গল্প করেন।

আর সম্প্রতি এমনই একজনকে দিদি নম্বর ওয়ানে প্রতিযোগী হয়ে আসতে দেখা গেল। আর তাকে নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। প্রসঙ্গত দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছিলেন ডালহৌস এর ভাইরাল দিদি, নন্দিনী। সেখানে এসে নিজের লড়াই করে বেঁচে থাকার গল্প শোনাতে গিয়ে চোখে জল চলে এলো তার। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে তাকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি।

প্রসঙ্গত গত বুধবার দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ডালহৌসি পাড়ায় ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। মাসখানেক ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি ভাইরাল। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিরভাগ নেটিজেনদের কাছেই তিনি পরিচিত স্মার্ট দিদি বা নন্দিনী ম্যাডাম হিসেবে। রচনার সাথে কথা বলতে বলতেই তিনি এদিন জানান আগে ২০ টার বেশি প্লেট বিক্রি হত না আর এখন সেখানে ৬০-৭০ প্লেট নিমেষে শেষ হয়ে যায়।

এদিন দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে এসে নন্দিনী জানান ছোটবেলায় তাদের অবস্থা ঠিকঠাক ছিল। তাদের বাবার একটা রবারের ব্যবসা ছিল । তার দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে ,এমনকি তিনিও ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়েছেন। কিন্তু নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকার জন্য বাড়ি, মায়ের গয়না সব বিক্রি করে দিতে হয়। সেই সময় নন্দিনীর বাবা ডালহৌসিতে গিয়ে ২০০ টাকা রোজের চাকরি করতেন। তিনিও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য চাকরি নিয়ে বাইরে চলে যান।

এরপর তার বাবা দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল খোলেন কিন্তু হঠাৎ করেই তার মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় দোকান বন্ধ হওয়ার অবস্থা হয়। তখনই তিনি চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন কলকাতায়, বাবার হোটেলে যোগ দেন। এরপর তিনি জানান তার বাবা রোজ সকালে উঠে বাজারে যান, মা কাটাকুটি করেন এবং এরপর মেয়ে হাত লাগান বাবার সঙ্গে রান্নায়। এই নিয়েই তাদের এখন জীবন। এ সকল গল্প বলতে বলতে নন্দিনী কেঁদে ফেলে কিন্তু নিজেকে সামলে, পরে রচনাকে তাদের ভাতের হোটেলে যাওয়ার অনুরোধ জানায়।

কিন্তু এখন নন্দিনীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল। তাতে যেমন অনেকে তার প্রশংসা করছে তেমন অনেকে তাকে নিয়ে কটাক্ষ করছে। নেটিজেনদের একাংশের মত তিনি নাকি একসময় বলেছিলেন তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়েছেন আর এখন অন্য কথা বলছেন। কেউ আবার কমেন্টে লিখেছেন, ‘হাজার হাজার মেয়ে এরকম ভাতের হোটেল চালায়। কিন্তু তাঁদের রূপ নেই বলে ভাইরাল হতে পারে না।’ অন্য জনের কমেন্ট, ‘এবার শুধু বায়োপিক বানানো বাকি আছে।’

Nira