জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শিয়ালদার পরোটা বিক্রেতা থেকে ওয়েব সিরিজের তারকা! অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি না হতে পারার আক্ষেপ আজও রয়ে গেছে তার

সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) দুনিয়ায় ব্লগিং (blogging) এখন এক জনপ্রিয় ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে, যেখানে যে কেউ নিজের শখ, অভিজ্ঞতা বা কাজের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করতে পারেন। রাজু দা, যিনি শিয়ালদার ছোট্ট পরোটা দোকানের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন, তার জীবনযাত্রা এখন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা। তবে তার জীবন একেবারে সহজ ছিল না। কলেজে ভর্তি না হওয়া থেকে শুরু করে আজ ওয়েব সিরিজের অংশ হওয়া—রাজু দার পথচলা এক বিশাল পরিবর্তনের সাক্ষী।

রাজু দা শিয়ালদায় একটি ছোট পরোটা দোকান চালিয়ে আসছেন, যা তার এক বিশেষ কম্বিনেশন তরকারির জন্য বেশ জনপ্রিয় ছিল। ২০ টাকায় তিনটি পরোটা আর আনলিমিটেড তরকারি, এই অফার ছিল সবার কাছে আকর্ষণীয়। হাজারো মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার পর, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের পরিচিতি বাড়ান। তবে, রাজু দার জীবন শুধু সুগম ছিল না। তিনি জানান, আর্থিক সংকটের কারণে তিনি কলেজে ভর্তি হতে পারেননি এবং পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি ক্যাটারিংয়ের কাজ শুরু করেন। ১৫ বছর ধরে পরোটা বিক্রি করে তিনি আজকের জায়গায় পৌঁছেছেন।

এখন, রাজু দা তার জীবনে এক নতুন মোড় দেখতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি জানালেন যে, তিনি একটি ওয়েব সিরিজের অংশ হতে চলেছেন, যা হইচইতে সম্প্রচারিত হবে। তার এই নতুন কাজের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো হট টপিক হয়ে উঠেছে। তবে তিনি নিজে বলেননি যে, তিনি সিরিজে কোন ভূমিকায় থাকবেন। তবে, তার সঙ্গী হিসেবে থাকছে তার সেই জনপ্রিয় পরোটা এবং তরকারি, যা তিনি অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছেন।

রাজু দার জীবনের এই নতুন অভিজ্ঞান শুধু তার জন্য নয়, বরং তার অনুরাগীদের জন্যও একটি দৃষ্টান্ত। তার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি শিখেছেন যে, কঠোর পরিশ্রম, স্বপ্ন এবং উদ্যোগের মাধ্যমে একজন সাধারণ ব্যক্তি কিভাবে তার ভাগ্য বদলাতে পারে। তবে তার জীবনটা শুধুমাত্র ব্যবসা ও সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি ফুড ব্লগিং নিয়ে কিছু অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কিছু ব্লগাররা মাঝে মাঝে এসে ক্রেতাদের বিভ্রান্ত করে, যা তার ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

রাজু দা এখন শুধু একটি দোকানদার নন, বরং একজন অনুপ্রেরণা। তার জীবনের এই বিপুল পরিবর্তন সবার কাছে শিখিয়ে দেয়, কখনো হার না মানা মানসিকতা এবং দৃঢ়তা মানুষের জীবনে কতটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

Tolly Tales

                 

You cannot copy content of this page