জি বাংলা বছরের পর বছর জুড়ে বাংলার দর্শককে একাধিক মেগা প্রোগ্রাম দিয়ে গিয়েছে। সেই রিয়ালিটি শোগুলো বাঙালি দর্শকদের একটা অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। চায়ের দোকানে যেমন রাজনীতি নিয়ে আলোচনা চলে, তেমনই এই রিয়ালিটি শোগুলো নিয়েও রীতিমতো আলোচনা বসে।
পরবর্তী এপিসোড কেমন হবে, কে থাকবে, কে থাকবে না। এমনকী কেউ প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় মনে হয়েছে যেন নিজের বাড়ির ছেলে – মেয়ে বাদ চলে গিয়েছে। তাঁদের কষ্টে কেঁদেছে আবার তাঁদের আনন্দেও আনন্দাশ্রু বইয়েছে।
এইরকম আবেগ জড়িয়ে থাকা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টকে মাথায় রাখতে হয় বহু বিষয়। কিন্তু তা সত্বেও প্রত্যেকবার একটা বিতর্ক হয়ই। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে এই বছরের সারেগামাপার অন্তিম পর্বের সম্প্রচার।
তাতে যুগ্মভাবে জয়ী হয়েছেন গায়িকা অস্মিতা কর এবং গায়ক পদ্ম পলাশ হালদার। তবে দর্শকরা অনুমান করেছিল এলবার্ট কাবো এবারে জয়ী হবে। আর এই নিয়ে বেশ ভালই জলঘোলা হচ্ছে।
কারণ কাকতালীয়ভাবে বিজয়ী পদ্ম পলাশের গুরুজী হচ্ছেন অজয় চক্রবর্তী। তিনি এবারে সারেগামাপা – র বিচারকের আসনে ছিলেন। আর সেকারণেই একপ্রকার স্বজনপোষণের কারণে বিজয়ী হতে পেরেছেন। যদিও এসব কিছুতে কান দিতে চান না পদ্ম পলাশ। বরং খুব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি জানতেনও না তাঁর গুরুজী বিচারক হচ্ছেন। এসবের থেকেও এখন তিনি তাঁর অনুরাগীদের শুভেচ্ছা কুড়িয়ে নিতে অনেক ব্যস্ত।