জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আদর্শ মেয়ে! শত ব্যস্ততার মাঝেও মা-বাবার দ্বিতীয়বার বিয়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য!

মা-বাবার বিয়ের ৩০ বছর পূর্তি — জীবনের এক অনন্য মুহূর্ত। আর সেই দিনটাকে আরও বিশেষ করে তুললেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। সকাল থেকেই মন ভরতি উত্তেজনা আর ভালোবাসা নিয়ে একগুচ্ছ চমক সাজিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কাজের চাপে সারাবছর মা-বাবার সঙ্গে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না, তাই এই বিশেষ দিনে পরিবারের জন্যই সব মনোযোগ দিয়েছিলেন শ্রীমা। আর তাঁর এই পরিকল্পনার প্রধান সহকারী ছিলেন ভাই। দু’জন মিলে গোপনে সাজিয়ে তুলেছিলেন এমন এক দিন, যা মা-বাবা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না।

শ্রীমা আগেভাগেই ঠিক করে রেখেছিলেন, কেমন হবে এই দিনটা। সকালে উঠে নিজে হাতে রান্না শুরু করেন, ঘর সাজান, আর সব আয়োজন করেন নিজের হাতে। তিনি হাসতে হাসতে বললেন, “মা-বাবা কিছুই টের পাননি। সবটাই আমি আর ভাই মিলে সারপ্রাইজ হিসেবে পরিকল্পনা করেছিলাম।” অভিনেত্রীর কথায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল তাঁর মায়ের। তাই মা-মেয়ের সম্পর্কটা যেন বন্ধুর মতো। এই বন্ধুত্বকেই আরও দৃঢ় করতে চেয়েছিলেন তিনি ভালোবাসার এই দিনে।

দিনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল ‘বিবাহ ২.০’। মা-বাবার দ্বিতীয়বার বিয়ে! অভিনেত্রী নিজেই সমাজমাধ্যমে ছবি ভাগ করে লিখেছেন, “মা-বাবার দ্বিতীয় বার বিয়ে। এ বার আমি আর ভাই সাক্ষী।” শ্রীমার পরিকল্পনায় সব কিছু ছিল নিখুঁতভাবে সাজানো। মা-বাবাকে তিনি নিয়ে যান শ্রী স্বামী নারায়ণ মন্দিরে। সঙ্গে চুপিচুপি নিয়ে যান মালা। মা-বাবা ভেবেছিলেন ঠাকুরের জন্য মালা কেনা হয়েছে! পরে যখন বুঝলেন, সেটা তাঁদের জন্য, তখন লজ্জায় মুখ ঢাকলেন শ্রীমার মা — মুহূর্তটা ছিল ভীষণ আবেগঘন।

বিবাহবার্ষিকীর উপহারও ছিল অভিনব। বাবাকে দাঁত বাঁধানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, আর মায়ের হাঁটু ব্যথা কমানোর জন্য কিনেছেন বিশেষ যত্নের সামগ্রী। তারপর পরিবার মিলে গিয়েছিলেন গঙ্গার ধারের এক বিশেষ রেস্তরাঁয়, যেখানে হাসি-আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠেছিল সন্ধেটা।

নিজের পরিকল্পনা সফল হতে দেখে আনন্দিত শ্রীমা জানালেন, “ওদের মুখে হাসিটা দেখেই মনে হল, এত পরিশ্রম সার্থক।” ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধন আর একটু সময়— এই তিনটিই প্রমাণ করল, সুখের সবচেয়ে বড় উৎস পরিবারই।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page