লর্ডসের মাঠে শার্ট ঘোরানো হোক কিংবা ক্রিকেটের ময়দানে ২২ গজ কাঁপানো, বাংলার দাদা বলতে আমরা একজনকেই চিনি আর তিনি হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। বেহালার ওই ছেলেটির মিষ্টি হাসি আর হাতের জাদুতে মুগ্ধ ৮ থেকে ৮০ সবাই।
তবে বাংলা দাদা কিন্তু মুগ্ধ একজনেই। সেই সৌভাগ্যবতী হলেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলী। দুজনের প্রেম এবং প্রেম থেকে বিয়ে পুরো গল্পটাই যেন সিনেমার মত। সহজ ছিল না সেই রাস্তা। তবুও দুজনের জেদ প্রেম দুটোই জিতে গেছে। আজ একমাত্র মেয়ে সানাকে নিয়ে সৌরভ এবং ডোনার সুখের সংসার।
তবে শুরুটা কেমন ছিল এটা অনেকেরই জানতে ইচ্ছা করে। দাদা জীবনের একটা গল্প ভাগ করে নিয়েছেন দাদার কাছের এক বন্ধু। সেই সময় দাঁড়িয়ে বাড়ির অমতে গিয়ে প্রেম করা এবং তারপর বাড়ির সবাইকে মানিয়ে বিয়ে এটা সহজ কাজ ছিল না দুজনের পক্ষেই। এত বছর কেটে যাওয়ার পরও দুজনের প্রেমের গল্প একই রকম প্রাসঙ্গিক এবং জানতে চায় মানুষ।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেটি পুরনো এবং সেখানে সৌরভের সঙ্গে এক বন্ধু রয়েছেন। সৌরভ এবং স্ত্রী ডোনাকে নিয়ে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন সেই বন্ধু।
তিনি জানিয়েছেন খেলা দেখতে যাবার নাম করে, ডোনার সঙ্গে আসলে প্রেম করতে যেতেন সৌরভ। এদিকে মহারাজ তখন আন্ডার ১৯ ক্রিকেট খেলা শেষ করে সবে বাংলার হয়ে খেলতে নেমেছেন। তখন মোহনবাগানের হয়ে ফুটবল খেলতেন তিনি। দাদা সেই বন্ধুটি তখন খেলতেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।
তখন থেকেই ডোনার সঙ্গে আলাপ শুরু হয় সৌরভের। নিজের গাড়িতে করেই বিকেলবেলা খেলা দেখতে আসতেন সৌরভ। তবে ইডেন গার্ডেনের পাশে সেই গাড়িটি দাঁড় করিয়ে অন্য বন্ধুর একটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতেন সৌরভ। প্রথমে এক জায়গা থেকে গাড়ি নিয়ে ডোনাকে তোলা হতো লরেট থেকে। সেখান থেকে পিটার ক্যাটে দুজনে ছোলে কাবাব খেতেন। আরেকটু ঘোরাঘুরি করে বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছে দিতে হতো ডোনাকে।
তবে সৌরভের বাবা জানতেন ছেলে সকালে স্কুল বিকেলে প্র্যাকটিস করে ইডেন ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখছে। আর সেই বন্ধুটি বললেন তিনি নিশ্চিত যে সৌরভ একটি ম্যাচ দেখতেন না এবং স্কোরও জানতেন না। সৌরভের এই কৌশল স্ত্রী ডোনা জেনে যাওয়ায় এখন মাঝে মাঝে সৌরভ কোথাও গিয়ে গাড়ি পাল্টাতে হলে স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেন গাড়ি কেন পাল্টালেন তিনি।