বর্তমানে জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে অন্যতম ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’। সদ্য শুরু হওয়া ‘নিম ফুলের মধু’ কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শুরু হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকারও হয়েছে এই নতুন ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী শর্মা (পর্ণা), বাবা-মা’র আদুরে মেয়ে পর্ণা। তার ইচ্ছে ছিল বিয়ে করে যৌথ পরিবারে যাওয়ার। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যৌথ পরিবারে গিয়ে প্রতিদিন নতুন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে পর্ণা।
তবে পর্ণা খুবই সাহসী ও চালাক মেয়ে। সে ঠিক সবকিছু সামলে আগে এগিয়েছে। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে আসা প্রতিটি বিপদে ঝাঁপিয়ে পরে সে। একের পর এক কাছের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে সে, তাদের বিপদ থেকে মুক্ত করেছে। এবার নিজেই সবচেয়ে বড় বিপদের মুখে। হাসপাতালের দুর্নীতিকে রুখতে গিয়ে স্বামী সৃজনকেই হারাতে বসল পর্ণা। আমরা জানি, পর্ণা একজন সাংবাদিক।
আর তাই সে একজন সাংবাদিক হয়ে সকল দুর্নীতিকে সামনে আনা কর্তব্যের মধ্যে পরে বলে মনে করে পর্ণা। আমরা দেখেছি, দত্ত বাড়ির বউ নীলাঞ্জনাকে খুঁজতে গিয়ে দত্ত বাড়ির ছোটো ছেলে অনিমেষের দূর্ঘটনা ঘটে। আর এর জন্য সকলেই নীলাঞ্জনাকে দায়ী করে। এমনকি কুসংস্কারে বশীভূত হয়ে সৃজনের মা নীলাঞ্জনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিল। আর তখনই নীলাঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়ায় পর্ণা।
অন্যদিকে অনিমেষের রোজগার কম হওয়ায় তাকে সরকারি হাসপাতালে ফেলে রেখে দেয়। এই পরিস্থিতিতে পর্ণা আর সৃজন ছোটকার পাশে দাঁড়ায়। পর্ণা লোন নিয়ে ছোটকাকে ভালো হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেসময় হসপিটালের রিসেপশনে তাদের জানানো হয়, ১০ লক্ষ টাকার কথা।এছাড়াও অনেক দেরি করে ভর্তি করার জন্য আরও এক্সট্রা ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই ঘটনায় অবাক হয়ে যায় সৃজন-পর্ণা। পর্ণার সন্দেহ হয়, নিশ্চয়ই এখানে কোনো অন্য কারসাজি আছে।
এত টাকা বিল হওয়ার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। আর সেই দুর্নীতি ধরতে গিয়েই সৃজন বন্দি হয়ে পড়ে হাসপাতালের মর্গে। যেখানে তাপমাত্রা মাইনাসে, আর তারফলেই সৃজন জ্ঞান হারায়। পর্ণা আর একজন ডাক্তার ঠিক সময়ে সেখানে আসে। তারপর অনেক চেষ্টায় সৃজনের জ্ঞান ফেরে। এবার কি তবে সৃজনকে হারানোর ভয়ে পিছিয়ে যাবে পর্ণা? নাকি দুর্নীতি ফাঁসের খুব কাছাকাছি আসতে চলেছে তারা? আসছে বড় ট্যুইস্ট।