চলতি বছরটা যে কী যাচ্ছে তা বলার নয়। লতা মঙ্গেশকার বাপি লাহিড়ি বিরজু মহারাজ সুভাষ ভৌমিক নারায়ণ দেবনাথ একের পর এক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব চিরঘুমের দেশে চলে যাচ্ছেন।আজ সকালে আবার টলিউডের জন্য নেমে এলো শোকের ছায়া,প্রয়াত হলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। গত দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যা ভুগছিলেন অভিষেক। বুধবার রিয়েলিটি শো-তে তিনি অংশও নিয়েছিলেন।সেখান থেকে আচমকা এরকম হয়ে যাবে কেউ ভাবতেও পারেননি। বর্তমানে খড়কুটো সিরিয়ালে গুনগুনের বাবা চরিত্রে দেখা যেত।বুধবার রিয়েলিটি শো চলাকালীনই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি নিজের বাড়িতে প্রয়াত হন।
লাইট ক্যামেরা একশন ছিল অভিষেকের প্রাণ আর অভিনয় চলাকালীনই তিনি চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে। নব্বইয়ের দশকে টলিউডে অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী প্রসেনজিৎ তাপস পালের সমসাময়িক চুটিয়ে অভিনয় করছিলেন অভিষেক। শতাব্দী রায় দেবশ্রী রায়ের সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’ , ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’,’নীলাচলে কিরীটি’।
বড় পর্দায় চুটিয়ে অভিনয় করার পর সম্প্রতি এসেছিলেন ছোটপর্দায়।সেখানেও নিজের অভিনয় গুণে মানুষের মনে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তার অকাল প্রয়াণে স্তব্ধ টলিউড।