“হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।
আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।
‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে”।
হ্যাঁ, উপরের যে অংশটা পড়লেন সেটা পুরোটাই সোশ্যাল মিডিয়া লিখে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রেমিক এবং অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। এই মুহূর্তে জীবন যুদ্ধে রয়েছেন প্রেমিকা। তার পাশে ছায়ার মতো রয়েছেন সব্যসাচী।
বেশ কিছুদিন ধরে অভিনেত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মনে একটাই প্রশ্ন। কেমন আছেন নায়িকা? পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় বেশ কিছু ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে যেগুলো দেখে রীতিমতো বিরক্ত সব্যসাচী। তবে তার আশা এবারেও প্রেমিকাকে ফিরিয়ে আনবেন ঠিক।