বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইভেনরা শর্মার মৃত্যুর পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটি দিন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার মা শিখা শর্মা সম্প্রতি ঐন্দ্রিলার স্মরণে আয়োজিত একটি সভায় এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। গত শনিবার সেই স্মরণ সভায় যোগ দিয়ে শিখা দেবী দাবি করেন,’এক-দু’জন চিকিৎসকের ইগোর জন্য ঐন্দ্রিলাকে চলে যেতে হল।’
দুবার ক্যান্সারকে জয় করবার পর। মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর জন্য তার মা দায়ী করেছেন হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে। সেই নিয়ে তিনি এক জায়গায় নয় বারবার একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন।
প্রসঙ্গত হাওড়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঐন্দ্রিলা, সেখানকার ইউনিট ইনচার্জ ছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। ঐন্দ্রিলার মায়ের অভিযোগ, ‘মেয়েকে দায়িত্ব নিয়ে ডিপ কোমায় ঠেলে দিয়েছেন ওই চিকিৎসক’।
অপর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উনি ঐন্দ্রিলাকে খুন করেছেন, আরও অনেক ঐন্দ্রিলাকে মারবেন’। এমনকি তিনি এও জানান যে ইগোর সমস্যার জেরে অন্য ডাক্তারদের কোনরকম সাজেশন মেনে চলেন নি ওই মহিলা চিকিৎসক। তবে তার সঙ্গে শিখা দেবী এও বলেন যে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক,নার্সিং স্টাফ এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই।
আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে সব জায়গায়। কিন্তু এই নিয়ে কি বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? এই ব্যাপারে সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমকে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, ‘আমাদের কাছে ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। আমরা এই বিষয়টি শোনার পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর আমাদের যা যা করণীয় তা করা হবে’।
হাসপাতালে তরফ থেকে এও জানানো হয় বিষয়টি খুবই ‘দুর্ভাগ্যজনক’। তারা আরো বলেন, ‘তাঁরা যে বলেছেন বাইরের থেকে উপদেশ নেওয়া হয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় কোথাও একটা ‘মিস কমিউনিকেশন’ হচ্ছে।’
এক ইউটিউব চ্যানেলকে শিখা দেবী জানান, ‘ওই মহিলা চিকিৎসক প্রথম থেকেই নেগেটিভ আচরণ করেছিলেন। এমনকী, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।’