শীতের শেষে ক্রিসমাস মানেই আলোর সাজ, হাসির রেশ আর একরাশ উষ্ণতা। এ বছর সেই চেনা ছবিটাই দেখা গেল গোবরডাঙ্গায়। ঝলমলে আলো, উৎসবের আমেজ আর মানুষের ব্যস্ততার মাঝেই যেন একটু আলাদা করে নজর কেড়েছে গায়িকা অঙ্কিতার মুখের হাসি। জন্মদিন না হলেও, এই ক্রিসমাস যে তাঁর কাছে বিশেষ—তা চোখ এড়ায়নি কারও। উপহার, ভালোবাসা আর কাছের মানুষের উপস্থিতিতে যেন মন ভরে উঠেছিল তাঁর, আর সেই অনুভূতির ঝলকই ধরা পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ক্রিসমাসের আনন্দে অঙ্কিতার দিন কাটছে ঘনিষ্ঠ মানুষদের সঙ্গে। কেক কাটা, ছোট ছোট মুহূর্ত আর অনাবিল হাসির ছবি তিনি ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। ছবিগুলোতে উপহারের চেয়ে বেশি চোখে পড়েছে মানসিক উষ্ণতা। কোথাও অতিরিক্ত জাঁকজমক নয়, বরং ছিল খুব নিজের মতো করে সময় কাটানোর ছাপ। সেইসব ছবিতে অঙ্কিতার চোখেমুখে যে খুশির ঝিলিক, তা থেকেই বোঝা যায়—এই উৎসব তাঁর কাছে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা ছিল না।
তবে এই ক্রিসমাস ঘিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। অনুরাগীদের একাংশের প্রশ্ন—এই বিশেষ দিনে যাঁর কাছ থেকে এত ভালোবাসা, সেই মানুষটি কে? ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে এই নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, এই মানুষটি বহুদিন ধরেই অঙ্কিতার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে, আবার কেউ বলছেন, তিনি ইন্ডাস্ট্রির বাইরের কেউ। যদিও এসব নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি নন গায়িকা নিজে।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই বিশেষ মানুষটি নীরবেই দীর্ঘদিন ধরে অঙ্কিতার পাশে রয়েছেন। লাইমলাইটের বাইরে থেকে তাঁর কাজ, ব্যস্ততা আর ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোকে সম্মান দিয়েই পাশে থাকেন তিনি। ঠিক সেই কারণেই হয়তো অঙ্কিতা নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নন। তাঁর কাছের মানুষদের মতে, এই সম্পর্কের শক্তিটাই লুকিয়ে আছে নীরবতায়।
আরও পড়ুনঃ মুক্তির আগেই বড় ধাক্কা, ‘হোক কলরব’-এর দৃশ্য ফাঁস! নিজের লোকের হাতেই বিশ্বাসঘাতকতা! কার দিকে আঙুল তুললেন রাজ চক্রবর্তী? ক্ষুব্ধ হয়ে নিলেন কী পদক্ষেপ?
নিজের অনুভূতি নিয়ে অঙ্কিতা বরাবরই সংযত। তাঁর বিশ্বাস, ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য নাম বা পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না। গুরুত্বপূর্ণ হলো পারস্পরিক বোঝাপড়া আর পাশে থাকার ভরসা। তাই জন্মদিন না হলেও, এই ক্রিসমাসে ভালোবাসার উপহারেই মন ভরাল তাঁর। রহস্যটা আপাতত অজানাই থাক, সেটাই যেন এই উৎসবের সবচেয়ে মিষ্টি দিক—এমনটাই মনে করছেন অনুরাগীরা।
