জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমি বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াতে বলছি না, আপনারা সামনে দাঁড়ান” বাংলা ছবির মর্যাদা রক্ষায় চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর স্পষ্ট বার্তা!

টিজার মুক্তির পর থেকেই, এই ছবিকে নিয়ে আলাদা একটা উষ্ণতা তৈরি হয়েছিল দর্শক মহলে। কারণ, বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে গেলে যে স্বাভাবিক হাসি-কান্না, অভিমান আর মমতার ঢেউ ওঠে– সেটাই আয়নার মতো ধরা পড়েছে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ (Haati Haati Paa Paa) ছবিতে। এই ছবিতে রুক্মিণী মৈত্র এবং চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে (Chiranjeet Chakraborty) পাশাপাশি দেখলে বোঝারাই উপায় নেই যে, কোথায় সিনেমা আর কোথায় বাস্তব জীবন মিলেমিশে গেছে।

বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে টানাপোড়েন জমে ওঠে বাবা আর মেয়ের সম্পর্কে, সেই বাস্তবতা থেকেই যেন ছবির ভাবনা। পরিচালক অর্ণব কুমার মিদ্যার এই গল্প একেবারেই প্রেমকাহিনি নয়, তবু এর ভেতরে যে ভালোবাসা রয়েছে তা একদম আলাদা। আসল জীবনের সঙ্গী বলতে যে মানুষটিকে বোঝায়, সেই ‘বাবা’ নামটাকে কেন্দ্র করেই গল্পটা ঘুরেছে। মা চলে যাওয়ার পর সন্তানরা কীভাবে বাবাকে সামলে নিতে নিতে একসময় নিজেই বড় হয়ে ওঠে, রুক্মিণীর চরিত্র সেই চেনা পরিচিত যাত্রাটির কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।

পরিচালক বহুদিন ধরে চিত্রনাট্য নিয়ে ভেবেছেন আর সেই মতো রুক্মিণীকে মাথায় রেখেই গল্পটা গড়ে তুলেছেন, কারণ তাঁর চরিত্রের স্বস্তিটা পর্দায় বেশ স্পষ্ট। অন্যদিকে, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতি ছবিটায় যেন আরও একটা স্তর যোগ করেছে। বছরের পর বছর অভিনয় করে যে অভিজ্ঞতা শিল্পী অর্জন করেন, সেই গভীরতা তাঁর এই অভিনয়েও স্পষ্ট। বাবার চরিত্রে তাঁর মুখে হাসির রেখা, রাগের সূক্ষ্ম মুহূর্ত বা পরস্পরের সঙ্গে ছোটখাটো ঝামেলা, মিলিয়ে চরিত্রটাকে খুব জীবন্ত করে তুলেছে।

যেন একটা পরিবারের খুব চেনা লোক, যাকে আমরা রাস্তাঘাটে বা নিজের বাড়িতেও অনায়াসে খুঁজে পাই। গতকাল ছিল ২৮ নভেম্বর, এই ছবি মুক্তির দিন। এদিন প্রিমিয়ার শোতে দর্শকের সঙ্গে বসে নিজেদের অভিনয় দেখেছেন রুক্মিণী ও চিরঞ্জিৎ। পড়ে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করা হয় ছবিটা দর্শক হিসেবে কেমন লাগল? উত্তরে অভিনেতা জানালেন তাঁর খোলাখুলি অনুভূতিটা, “আমার তো ভালোই লেগেছে, গল্প থেকে শুরু করে অভিনয় সবকিছুই। নিজেদের সবটা দিয়েই আমরা চরিত্রগুলোকে জীবন দিয়েছি।

এবার বাকিরা দেখে বলবেন, তাদের কেমন লাগল। আমি অনুরোধ করবো দর্শকদের এসে দেখতে একবার হলেও। আমি বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াতে বলছি না। আপনারা সামনে দাঁড়ান, যাতে দেখতে পারেন।” তাঁর এই কথাতেই যেন স্পষ্ট যে, ছবি নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি দাবি নয় বরং একটা সৎ কাজ দর্শকের কাছে পৌঁছোক, এতটুকুই তাঁর ইচ্ছা। সব মিলিয়ে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ একটা সম্পর্কের গল্প হলেও সেটার ভাষা অত্যন্ত সাধারণ। কোনও অতিরঞ্জিত নাটকীয়তা নেই, আবার টানটান আবেগও লুকোনো নেই। বাবা-মেয়ের সম্পর্ককে এতদিন অন্যভাবে দেখা গেছে, কিন্তু এই ছবিতে সেটা ধরা পড়েছে খুব বাস্তব ভঙ্গিতে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page