টলিউডের মহানায়ক উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর যখন একপ্রকার দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সেই সময়ে হাল ধরেন অঞ্জন চৌধুরী।
তারপরেই ইন্ডাস্ট্রিতে আসে অন্য ধারা, অন্য ধরণের সিনেমা। সংসারে শাশুড়ী-বৌয়ের কলহ, কাজের মেয়ের বাড়ির বৌ হয়ে ওঠার মতো গল্প ঢুকে পড়ে বাঙালির ঘরে ঘরে। প্রসেনজিৎ নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
এরপর একসময়ে বাবার হাত ধরে সিনেমা জগতে আসে দুই মেয়ে চুমকি ও রিনা চৌধুরী। সম্প্রতি ‘দিদি নং 1′-এ এসে চুমকি জীবনের অনেক অজানা কথা শেয়ার করলেন। নায়িকা হতে চাননি তিনি। বাবা অঞ্জন চৌধুরীর সম্মান রক্ষার্থে তাঁর পরিচালনায় অভিনয় করেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল শিক্ষিকা হওয়ার অথবা বিয়ে করে গৃহবধূ হবেন।
শ্যামল দাসপরিচালিত ছবি ‘স্নেহের বন্ধন’ -এ শেষবারের মতো অভিনয় করতে দেখা যায় চুমকিকে। এরপর তিনি অভিনেতা লোকেশ ঘোষকে বিয়ে করে সুখে সংসার করতে শুরু করেন।
কিছুদিন আগে চুমকিকে একটি টেলিভিশন প্রজেক্টে দেখা গেলেও ভালো চরিত্র না পেলে কাজ করতে চান না তিনি। আপাতত অঞ্জন চৌধুরী প্রোডাকশনের দায়িত্ব চুমকি ও রিনার দাদা সন্দীপ চৌধুরী সামলাচ্ছেন।