গতবছর পুরো সময়টা ধরে সংবাদ শিরোনামে ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান এবং অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।নিখিল জৈন সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করেন এবং তার পরিণতিতে নুসরাত জাহানের সন্তানসম্ভবা হওয়া। যখন অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং সন্তানের জন্ম দিলেন তখন সারা সময় পাশে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত তবুও নুসরাত নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনতে রাজি হননি কখনো।
এটা নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কম হয়নি।নুসরাতের চরিত্র নিয়ে যে পরিমাণ জলঘোলা হয়েছে তা কহতব্য নয়। কিন্তু যশ এবং নুসরাত একে অপরের পাশে থেকেছেন শক্ত করে হাত ধরে।দুজনে প্রথম প্রথম একসঙ্গে ছবি দিতেন না কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে বোঝা যেত দুজনে এক জায়গাতেই আছেন।এর পরবর্তীকালে হঠাৎ করে কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইট থেকে ছেলের বার্থ সার্টিফিকেট ভাইরাল হয়ে যায় এবং সেখানে বাবার নাম হিসেবে যশ দাশগুপ্তকেই দেখা যায়।এরপরে নুসরাত কখনো প্রকাশ্যে স্বীকার করেননি যশ দাশগুপ্ত তার ছেলের বাবা কিন্তু সেই জিনিসটা আর লুকিয়েও রাখেননি।
যশ এবং তিনি এরপরে একসঙ্গে দেখা দিতে শুরু করেন। যশ দাশগুপ্তের জন্মদিনে হাসব্যান্ড এবং ড্যাড লেখা কেক উপহার দেন নুসরাত। এরপর নুসরাত জাহানের টক শো’তে এসে সমস্ত বিতর্ক দূর করেন যশ দাশগুপ্ত। তারপর দিওয়ালির সময় নিজের ছেলের ছবি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নুসরাত জাহান। কিছুদিন আগে দাদাগিরিতে এসে দুজনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরেছিলেন।
গতকাল সন্ধ্যা বেলায় হঠাৎ একটা খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে যায় ব্রেকআপ হয়ে গেছে নুসরাত জাহান এবং যশ দাশগুপ্তের।খবরটা পুরো আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কারণ হিসেবে বলা হয় যে দুজন দুজনকে ইনস্টাগ্রামে আনফলো করে দিয়েছেন। কথাটা সত্যি ছিল।সেইমতো সকলে বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে কিছু একটা হয়েছে এবং সম্পর্ক আবার ভেঙে গেছে তাদের মধ্যে। আবার নুসরাতের চরিত্র নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। এমনকি এটাও বলা হয় এবার তাহলে ছেলে কার কাছে থাকবে?
যদিও কিছুক্ষণ পর দেখা যায় দুজনে আবার একে অপরকে ফলো করে নিয়েছেন। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে তাদের মধ্যে হয়তো সাময়িক কিছু হয়েছিল কিন্তু আবার তারা মিটিয়ে নিয়েছেন।যদিও অনেকেই বলছেন যে আসলে অনেকদিন ধরে নুসরাত এবং যশকে নিয়ে কোন খবর বার হচ্ছে না তো তাই লাইমলাইটে আসার জন্য একটুখানি অ্যাটেনশন নিয়ে নিলেন দুজনে।