বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে উত্তম কুমারের পর স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছিল প্রভাত রায়ের হাত ধরে এমনটাই বলা হয়। একের পর এক হিট সিনেমা যেমন তিনি পরিচালনা করেছেন তেমনি বাঙালি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারস্টার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ওয়াজ দর্শকদের মনে চিরকালের জন্য জায়গা করে নিয়েছে আবার কেউ কেউ হারিয়েও গেছে।
এই পরিচালক হলেন প্রভাত রায়। টলিউড এক ঝাঁক তারকাকে সিনেমায় লঞ্চ করেছেন তিনি। তার হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রি খুঁজে পেয়েছে একাধিক নতুন মুখ। কিন্তু একটা সময় পর যখন ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা বলার ধরন পাল্টে গেল এবং প্রভাত রায় একটু দূরত্ব তৈরি করলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে তখন অনেকেই কার্যত ভুলে গেল তাকে এই অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক নিজে।
স্মৃতিচারণা করে প্রভাত রায় জানিয়েছেন প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলে মেয়েকে সিনেমায় সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে রয়েছেন রুপা গাঙ্গুলী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, টোটা রায় চৌধুরী থেকে শুরু করে বর্তমানের জনপ্রিয় তারকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী এবং সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। মাত্র তিনজন তাকে মনে রেখেছে আর বাকি সকলেই অকৃতজ্ঞ। যারা মনে রেখেছে, তারা হলো ঋতুপর্ণা টোটা এবং সায়ন্তিকা। আর বাকিরা কেউ খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না বলে দাবি এই পরিচালকের।
কিন্তু কেন হঠাৎ এই বিষোদগার করলেন তিনি? অভিনেতার দাবি সবাই বৌদি বৌদি করে লাফাতো কিন্তু পরিচালকের স্ত্রী মারা যাবার পরে কেউ আর মুখ ফিরিয়ে তাকায়নি এমনকি খবর নিতে আসেনি। প্রসেনজিৎ বলেছিলেন আসবেন কিন্তু তিনি আসেননি। জিৎকে নিজে খবর দিয়েছিলেন পরিচালক কিন্তু তিনিও আসতে পারেননি। আর এগুলি মনে খুব কষ্ট দিয়েছে পরিচালককে। রঞ্জিত মল্লিক নিজে এসেছিলেন খবর পেয়ে যাকে পরিচালক নিজে জানাননি। ঋতুপর্ণা আর টোটা রায়চৌধুরী, নিজের বাড়ি এসে দেখা করে গেছে।
সায়ন্তিকা বারবার ফোন করে পরিস্থিতি নিয়ে খবর নিয়েছে। আর বাকিদের কোন খবর নেই। বৌদিকে নিয়ে এত স্নেহ ভালোবাসা সব কি উবে গেল? মনে একটাই ক্ষোভ থেকে গেল পরিচালকের।