ফাইটার! লড়াকু! এই শব্দগুলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য একেবারে যথোপযুক্ত। মনের জোরে একটা মানুষ কী ভাবে বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে নিজেকে ফিরিয়ে এনেছে তার সঠিক উদাহরণ এই মেয়েটি। এবার নিজের পেসেন্টকে নিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন ডাক্তার।
এক সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরলেন ডাক্তার সুমন মল্লিক। লিখেছেন প্রায় সাত বছর ধরে তিনি অভিনেত্রীর চিকিৎসা করে গেছেন। তাই ঐন্দ্রিলা তার কাছে নিজের মেয়ের মতোই হয়ে উঠেছিল। লিখেছেন চিকিৎসক হয়েও ঐন্দ্রিলার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। অনেকে ক্যান্সার হলে গোপন করে যায় কিন্তু ঐন্দ্রিলা সেটা করেননি বরং চুল উঠে যাওয়ার পরেও সেই অবস্থাতে প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি।
২০১৫ সালে দিল্লির এমসে যান ঐন্দ্রিলা। সেখানে থেকেই সোজা ডাক্তার সুমন মল্লিকের কাছে চিকিৎসা শুরু হয়। তখন ঐন্দ্রিলা অভিনেত্রী হননি তবে অভিনেত্রী হওয়ার জেদ ছিল তার মধ্যে। এরপর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং কাজের মধ্যে ডুবে যান তিনি। কিন্তু যখনই স্বাভাবিক জীবনের পথে একটু এগিয়েছে, তখনই ফিরে এসেছে ক্যানসার।
দ্বিতীয় বার ঐন্দ্রিলা অপারেশন থিয়েটারের টেবিলেই মারা যেতে পারতেন। সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন চিকিৎসক নিজে। তবু নায়িকা জোর গলায় বলেছিলেন অপারেশন করতে। সেই জটিল অস্ত্রোপচারও সফল হয়। লড়াই করেই ঘরে ফেরেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। প্রচন্ড পজেটিভ ভাবনার মানুষ ছিলেন তিনি।
শেষ ২০ দিন ধরে সাংঘাতিক লড়াই করে গেছেন র চঞ্চল প্রাণবন্ত মেয়েটা। কখনও চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে। একটু ভাল হয়েছে। আবার অবনতি। চিকিৎসক জানালেন তারাও বলেন রোগী যদি পজিটিভ ভাবনার মধ্যে থাকেন তবেই বেশি বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়।