দীর্ঘ পাঁচ বছরের পথ চলা একসঙ্গে। শুরুটা হয়েছিল ঐন্দ্রিলার প্রথম ধারাবাহিক ঝুমুরের সেটে। যদিও তখন প্রেম হয়নি তবে শুটিং থেকে বিরত পেলেই কলাকুশলীদের নিয়ে আড্ডা দিতেন নায়িকা। তাতে সামিল থাকতেন সব্যসাচী। সেখান থেকেই আস্তে আস্তে ফোনে কথা বলা শুরু এবং এগোতে থাকে সম্পর্ক।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সেই সব্যসাচীর হাত ছাড়লেন ঐন্দ্রিলা। একা করে রেখে চলে গেলেন অভিনেত্রী। এই পাঁচ বছরে নায়িকার সুখ-দুঃখের, লড়াই, যন্ত্রণার ভাগীদার ছিলেন সব্যসাচী নিজে। আর নায়িকার জীবনের শেষ দিনগুলিতে তার পাশে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন সব্যসাচী। যেন যমের কাছ থেকে টেনে নিয়ে আসতে চান প্রেমিকাকে।
তবে শেষ রক্ষা হলো না। প্রেমিকার মৃত্যুর পর সব্যসাচীর খোঁজ নিতে যোগাযোগ করে এক সংবাদ মাধ্যম। সব্যসাচী কথা বলেননি তবে তার হয়ে তার এক সহকর্মী এবং জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস জানিয়েছেন এই মুহূর্তে গোটা পরিবার প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছেন সব্যসাচী নিজে। আর কেমনই বা থাকার কথা এই অবস্থায়?
তবে এই কঠোর পরিস্থিতিতে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। আর কোনদিন সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে লিখবেন না কিছু। কারণ মিষ্টির কথাতেই লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি। সকলের সঙ্গে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের আপডেট ভাগাভাগি করে নিচ্ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা থেকে বহু মানুষ জানতে পারছিলেন ঠিক কেমন রয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু নায়িকার মৃত্যুর ঠিক আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতে সমস্ত তথ্য ডিলিট করে দেন সব্যসাচী নিজে।